Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে এমপিভি তৈরি করবে হুন্ডাই

ভারত এখন আর শুধুমাত্র ছোট গাড়ির বাজার নয়। বরং ‘মাল্টি পারপাস ভেহিকল’ (এমপিভি), স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল’ (এসইউভি)-এর মতো তুলনায় বড় গাড়ির বাজারও বাড়ছে ধীরে ধীরে। সম্প্রতি নতুন একটি এসইউভি, ‘ক্রেটা’ বাজারে এনেছে কোরীয় বহুজাতিক গাড়ি সংস্থা হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া। আগামী দিনে ভারতে তাদের একটি এমপিভি তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।

বাজারে আসার সময়ে ক্রেটা।-ফাইল চিত্র।

বাজারে আসার সময়ে ক্রেটা।-ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৫৮
Share: Save:

ভারত এখন আর শুধুমাত্র ছোট গাড়ির বাজার নয়। বরং ‘মাল্টি পারপাস ভেহিকল’ (এমপিভি), স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল’ (এসইউভি)-এর মতো তুলনায় বড় গাড়ির বাজারও বাড়ছে ধীরে ধীরে। সম্প্রতি নতুন একটি এসইউভি, ‘ক্রেটা’ বাজারে এনেছে কোরীয় বহুজাতিক গাড়ি সংস্থা হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া। আগামী দিনে ভারতে তাদের একটি এমপিভি তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।
সংস্থার চিফ কোঅর্ডিনেটর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ইয়ং জিন আন জানিয়েছেন, তাঁরাও এ দেশে একটি এমপিভি তৈরি করবেন। তবে তার কোনও সময়সীমা জানাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘‘কিছুটা সময় লাগবে।’’
এখন সংস্থাটির ভাঁড়ারে দুটি এসইউভি রয়েছে, সান্তা-ফে এবং সদ্য বাজারে আসা ক্রেটা। কিন্তু দুটি গাড়ির দৈর্ঘ্যই চার মিটারের বেশি। দেশের বাজারে এখন অবশ্য চার মিটারের চেয়ে ছোট এসইউভি গাড়ির চাহিদাই বেশি। গাড়ির দৈর্ঘ্য চার মিটারের চেয়ে কম হলে কম উৎপাদন শুল্ক চাপে। ফলে গাড়ির দামও কিছুটা কম হয়। মূলত এই জন্যই ক্রেতাদের মধ্যে এ ধরনের গাড়ির আগ্রহ বেশি। কিন্তু হন্ডাই-এর ভাঁড়ারে এখনও এ ধরনের কোনও গাড়ি নেই। প্রতিযোগিতার দৌড়ে টিকে থাকতে এ ধরনের গাড়ি তৈরি জরুরি, তা মানছেন আন। কিন্তু এ নিয়ে এখনই কিছু স্পষ্ট করতে চাননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি।’’
আগামী দিনে ভারতের বাজার নিয়ে আশাবাদী হলেও এখনই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়েছে, মনে করেন না হুন্ডাই-কর্তা। তাঁর বক্তব্য, বাজারে যে-সব নতুন গাড়ি এসেছে, মূলত সেগুলির বিক্রি উপর ভর করেই গাড়ি শিল্পে বৃদ্ধির হার দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলি বাদ দিলে সার্বিক ভাবে গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার কার্যত শূন্য। তাই চেন্নাই কারখানার মোট উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ৯৮% ব্যবহৃত হলেও এখনই নতুন কারখানা তৈরির পরিকল্পনা নেই তাঁদের। তিনি বলেন, ‘‘আমরা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যদি দেখা যায় সার্বিক ভাবে বাজারের উন্নতি হয়েছে তখন উৎপাদন ব্যবস্থা সম্প্রসারণের কথা ভাবব।’’ তাঁর দাবি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে দ্রুত কারখানা গড়ার ব্যাপারে তাঁরা দক্ষ। চেন্নাইয়ের কারখানাও মাত্র ১৮ মাসে তৈরি হয়েছিল। ফলে ঊর্ধ্বমুখী বাজার ধরতে সংস্থার অসুবিধা হবে না।
সংস্থার দাবি, বাজারে ক্রেটা যতটা সাড়া ফেলবে বলে তাঁদের মনে হয়েছিল, বাস্তবে তার বেশি হয়েছে। আন জানান, তাঁদের লক্ষ্য ছিল, মাসে ৪৫০০টি ক্রেটা তৈরি করা। কিন্তু বাজারের চাহিদা এতটাই যে, করতে হচ্ছে ৭৫০০টি। এখনও পর্যন্ত ৫৫ হাজারেরও বেশি ক্রেটার বুকিং পেলেও ২৬ হাজার ক্রেতার হাতে চাবি তুলে দিয়েছে সংস্থাটি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE