জেট এয়ারওয়েজের ৭৫% অংশীদারি বিক্রির জন্য নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঋণদাতারা। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সফল না হলে? সূত্রের খবর, সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি রাখতে চাইছে সাতটি ব্যাঙ্কের গোষ্ঠী। সে ক্ষেত্রে দেউলিয়া বিধির কাঠামোর বাইরে থেকে সম্পত্তি বা অংশীদারি বিক্রি করলে বেশি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে করছে তারা।
মার্চের শেষে ১ টাকার বিনিময়ে জেটের ৫১% শেয়ার নিয়েছে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু পুঁজির অভাবে বুধবার থেকে পরিষেবা বন্ধ করেছে জেট। সূত্রের খবর, সংস্থার অংশীদারি বিক্রির প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে এতিহাদ এয়ারওয়েজ, টিপিজি ক্যাপিটাল, ইন্ডিগো পার্টনার্স, এনআইআইএফ। এই প্রক্রিয়া সফল না হলে দেউলিয়া বিধির বাইরে সমাধান চাইছে ঋণদাতারা।
দেউলিয়া বিধি কার্যকর করতে হলে প্রথমে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) সম্মতি চাই। তার পরে এগোতে হবে সময় ধরে। কিন্তু বিকল্প পথে তুলনামূলক ভাবে বেশি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব বলে মত ব্যাঙ্কগুলির। এই মুহূর্তে তাদের কাছে জেটের ধার ৮,৫০০ কোটি টাকা। নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য জেটের সম্পত্তি কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা তুলতে চাইছে ব্যাঙ্কগুলি। এ জন্য সংস্থার ১৬টি বিমান লিজ দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।
গত কাল সন্ধ্যায় জেটের সমস্যা নিয়ে দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেন সংস্থার সিইও বিনয় দুবে, বিমান সচিব প্রদীপ সিংহ খারোলা ও কর্মী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। পরে দুবে বলেন, ‘‘কর্মীদের আশ্বস্ত করতে এখনই অন্তত এক মাসের বেতন দেওয়া দরকার। মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার দাবি, জেটের সঙ্কটে তিনি কেলেঙ্কারির গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁর আবেদন, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি বিমান প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ জেট কর্মীদের একাংশ। একটি ইউনিয়নের অভিযোগ, মন্ত্রী বলেছেন জেটের দক্ষ কর্মীদের অন্য বিমান সংস্থা কাজের সুযোগ দেবে। খোলা চিঠিতে তাদের বক্তব্য, সঙ্কটের সময়ে এই ধরনের মন্তব্য সহ্য করবে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy