আবারও সরাসরি কমলো পাইকারি দর। সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে জানুয়ারিতে তা কমেছে ০.৯০% হারে। টানা ১৫ মাস ধরেই নীচে নামছে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা এই হার। তবে বাজারে তার প্রভাব তেমন পড়ছে না বলেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি জানুয়ারিতে ছুঁয়েছে ৫.৬৯%, যা গত দেড় বছরে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি, অর্থনীতি ও কেন্দ্রের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত মাসে রফতানি কমেছে ১৩.৬%। এই নিয়ে টানা ১৪ মাস ধরে সঙ্কুচিত হয়ে তা দাঁড়িয়েছে ২১০০ কোটি ডলারে। তবে সোনা আমদানি ৮৫ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারে।
দাম সরাসরি কমার অর্থ মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে শূন্যের নীচে । তবে দর পড়লেও গত ২০১৫-র সেপ্টেম্বর তা কিছুটা বাড়ার মুখ নিয়েছে। যেমন, ডিসেম্বরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ছিল (-) ০.৭৩%। জানুয়ারিতে অবশ্য খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি গত মাসের ৮.১৭% থেকে কমে হয়েছে ৬.০২%। তবে মূল্যহ্রাসের এই প্রবণতায় বিভিন্ন বণিকসভা উদ্বেগ জানিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সুদ আরও ছাঁটাইয়ের দাবি তুলেছে। তাদের মতে, শিল্প আরও চাঙ্গা হলে চাহিদা বাড়ার হাত ধরে মূল্যহ্রাসে রাশ টানা যাবে।
এ দিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে জানুয়ারিতেও রফতানি কমার মূল কারণ বিশ্ব বাজারে চাহিদায় ঘাটতি। তবে আমদানিও ১১% কমে ২৮৭১ কোটি ডলার হয়েছে। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি নেমে এসেছে ৭৬৩ কোটিতে, যা ১১ মাসে সবচেয়ে কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy