পেট্রলের তুলনায় ডিজেল চালিত যাত্রী গাড়ির দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা বেশি। ২০২০ সাল থেকে ‘ভারত স্টেজ-৬’ (বিএস-৬) মাপকাঠির দূষণ বিধি চালু হলে গাড়ি তৈরির খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই ফারাক আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ডিজেল চালিত হ্যাচব্যাক বা সেডান গাড়ির চাহিদা আদৌ থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান গাড়ি শিল্প।
তাদের পাশাপাশি আমজনতার একাংশের বক্তব্য, স্বাচ্ছন্দ্য, যন্ত্রাংশের দাম, রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ক্ষেত্রে পেট্রলের তুলনায় এমনিতেই পিছিয়ে ডিজেল গাড়ি। তবু একটা সময় পর্যন্ত ডিজেলের দাম কম থাকায় চাহিদায় তা পাল্লা দিচ্ছিল পেট্রল গাড়ির সঙ্গে। কারণ, বেশি পথ পাড়ি দিলে গাড়ি কেনার বাড়তি খরচ পুষিয়ে দেওয়া সহজ হচ্ছিল। কিন্তু এখন লিটার প্রতি দুই জ্বালানির দামের ফারাক ১০ টাকারও নীচে । ফলে সেই হিসেব এখন আর মিলছে না।
শিল্পের বক্তব্য, এখন বিএস-৪ বিধি রয়েছে। বিএস-৬ বিধিতে গাড়ি থেকে বার হওয়া গ্যাস ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা আরও আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। তা মানতে হলে গাড়ি সংস্থাগুলিকেও ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে হবে। তাতেই ডিজেল গাড়ির দাম পেট্রলের তুলনায় আরও অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
মারুতি-সুজুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব জানাচ্ছেন, ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে বিএস-৪ থেকে বিএস-৬ মাপকাঠিতে উত্তরণের খরচ বেশি। গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের ডেপুটি এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর অতনু গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ইউরোপেও ২০১৪ থেকে যাত্রী গাড়িতে ধাপে ধাপে ইউরো-৬ বিধি চালু হয়েছে। সেখানেও দাম বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy