সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা লড়ছেন বিজয় মাল্য। বুধবার সেই মামলায় কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্ণধারের দাবি, তাঁকে পলাতক আর্থিক অপরাধী ঘোষণা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ‘অর্থনৈতিক মৃত্যুদণ্ডের’ সামিল। তাঁর হয়ে আইনজীবী অমিত দেশাই এই অভিযোগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, সারা দেশে মাল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্তের উপরে স্থগিতাদেশের। সেই আর্জি যদিও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
ইতিমধ্যেই মাল্যকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে লন্ডনের এক আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। দেশেও একাধিক মামলা চালাচ্ছেন মাল্য। এরই মধ্যে একটির শুনানিতে বুধবার তাঁর দাবি, ঋণ ও তার উপরে সুদের পাহাড় কমানোর মতো সম্পত্তি তাঁর রয়েছে। কিন্তু সরকার সেগুলি কাজে লাগাতে দিচ্ছে না। নিজের সম্পদের উপরেও কোনও অধিকার নেই বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। দেশাইয়ের দাবি, গত বছরে পাশ হওয়া পলাতক আর্থিক অপরাধী আইন অসাংবিধানিক। এই আইনে কেন্দ্র সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করতে পারে। এমনকি এটাও দেখা হয় না যে, সেই সম্পত্তি অপরাধের টাকায় কেনা হয়েছে কি না।
মাল্যের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ইডির আইনজীবী ডি পি সিংহ। তাঁর মতে, মাল্যের মতো যে সমস্ত ব্যক্তি ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি জালিয়াতি করে পালিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতেই এই আইন। সিংহের পাল্টা দাবি, এই আইনে কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের অনুমতি নিয়েই তাদের কাজ করতে হয়। আইনের বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বক্তব্য জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy