ফাইল চিত্র।
মাসুল যুদ্ধের দৌলতে মোবাইলে উপচে পড়ছে ডেটা। কিন্তু অনেক সময়ই সেই ঠাসা ডেটাতেও সাইট খোলার জো নেই। বিরক্তি বাড়িয়ে চোখের সামনে ঘুরেই চলেছে ‘চাকা’।
যাঁকে ফোনের চেষ্টা, অনেক সময় আবার বহু বার নাগাড়ে চেষ্টার পরেও নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর। সংযোগই করা যাচ্ছে না তাঁর সঙ্গে।
আর এ সবের সঙ্গে পুরনো কল-কাটার সমস্যা তো আছেই। যার জেরে কথা বলতে গিয়ে লাইন কেটে যাচ্ছে অজস্র বার। দুর্বল সিগন্যালও।
গ্রাহকদের এই সব অভিযোগের সামনে টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলির যুক্তি, টাওয়ার বসাতে সমস্যা, চড়া দরে স্পেকট্রাম কিনতে গিয়ে মাথায় চেপে থাকা বিপুল ঋণের বোঝা— এই সমস্ত কারণে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব তো ছিলই। এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গলাকাটা মাসুল যুদ্ধের চাপ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তার দরুন আয়ে টান পড়ছে। উপরন্তু বাড়ছে ব্যয়। ফলে পরিকাঠামোয় পর্যাপ্ত টাকা ঢালতে পারছে না সংস্থাগুলি। বসাতে পারছে না যন্ত্রাংশ। যা টের পাওয়া যাচ্ছে পরিষেবার গুণমানে।
মাথা পিছু গড় ডেটা ব্যবহার
• জুলাই-সেপ্টেম্বর ২৩২ এমবি
(২০১৬-’১৭)
• জুলাই-সেপ্টেম্বর ১,৬১০ এমবি
(২০১৭-’১৮)
ডেটার গড় দর (প্রতি এমবি)
• সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮ পয়সা
• সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২.১ পয়সা
শিল্পের মোট আয়
• ডিসেম্বর, ২০১৬ ৪৬,৫৮৯ কোটি
• ডিসেম্বর, ২০১৭ ৪৩,৬৮৭ কোটি
লগ্নির অনুপাতে ক্ষতি
• ২০১৩-’১৪ ০.৭%
• ২০১৪-’১৫ ১.৫%
• ২০১৫-’১৬ ০.৫%
• ২০১৬-’১৭ ২.২%
টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআই-এর দাবি, আয় কমেছে অনেকখানি। এই শিল্প সূত্রে খবর, সুষ্ঠু পরিষেবার জন্য টাওয়ারের মতো অপটিক্যাল ফাইবার, স্পেকট্রাম, বার্তা সংবহনের সুইচও জরুরি। টাওয়ার বসানোর সমস্যা তো আছেই। এখন আর্থিক চাপে সেই সব যন্ত্রাংশ বসানোর গতিও শ্লথ হচ্ছে। টেলিকম ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্সের চেয়ারম্যান এমেরিটাস এন কে গয়াল জানান, সংস্থাগুলি যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের কার্যত বরাতই দিচ্ছে না। এ নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করেনি টেলিকম সংস্থাগুলি।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ডেটা ব্যবহার হয়তো ৭-৮ গুণ বেড়েছে, কিন্তু তেমনই তার দাম কমে হয়েছে ন’ভাগের এক ভাগ। জিও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সিওএআইয়ের ডিজি রাজন এস ম্যাথুজের মতে, ৫-৬ বছরে পরিকাঠামো গড়তে গড়ে ১,০০০ কোটি ডলার করে লগ্নি জরুরি। কিন্তু সস্তার পরিষেবা দিতে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে সেই উন্নয়ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy