কেন্দ্র চায় আগামী দিনে দেশের রাস্তায় চলুক শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক গাড়ি। কিন্তু তাদের এই মরিয়া প্রচেষ্টায় প্রমাদ গুনছে ফোর্জিং শিল্প। তাদের বক্তব্য, সত্যিই যদি সেটা হয়, তা হলে ব্যবসা হারিয়ে সঙ্কটের মুখে পড়তে হতে পারে তাদের।
পেট্রল-ডিজেলে এখন যে সব গাড়ি চলে, সেগুলির অনেক যন্ত্রাংশই তৈরি করে বিভিন্ন ফোর্জিং সংস্থা। যেগুলি মূলত ছোট ও মাঝারি শিল্প। একটি গাড়িতে প্রায় ২,০০০ এমন যন্ত্রাংশ থাকে, যেগুলি জোগায় তারা। কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়িতে এই ধরনের যন্ত্রাংশ লাগে তার তুলনায় অনেক কম। সেই কারণেই ব্যবসা হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল।
অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ফোর্জিং ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট এস মুরলীশঙ্কর বলছেন, ‘‘বৈদ্যুতিক গাড়ি চালু হলে বিরূপ প্রভাব পড়বে এই শিল্পে। কারণ প্রায় ৬০% ফোর্জিং সংস্থাই গাড়ির যন্ত্রাংশ (যেমন ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন সংক্রান্ত) তৈরি করে। বৈদ্যুতিক গাড়ি চললে তারা ব্যবসা হারাবে। কাজ হারাবেন অনেকে।’’
তাঁর দাবি, তাই এ নিয়ে কেন্দ্রের স্পষ্ট দিশা দেওয়া জরুরি। এখন গাড়ি শিল্প বৃদ্ধির পথে থাকায় ফোর্জিং শিল্পেরও ব্যবসা বাড়ছে। মুরলীশঙ্কর জানান, এ বছর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের বেশি হবে বলে তাঁদের আশা। যা দেশের মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচিকেও আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়লে ব্যবসা বৃদ্ধির এই পরিস্থিতি দূর অস্ত্, তা আদৌ চালানো যাবে কিনা তাই নিয়েই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির মধ্যে।
বস্তুত, তেলের আমদানি কমাতে হালে বৈদ্যুতিক গাড়ির পক্ষে জোরালো সওয়াল করছেন মন্ত্রীরা। চাইছেন ২০৩০ সাল থেকে দেশে শুধুই এই গাড়ি চলুক। সেই লক্ষ্যে নীতি তৈরির রূপরেখা নিয়ে কথাও চলছে। যদিও শিল্পের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও স্পষ্ট নীতি ছাড়া সিদ্ধান্ত চাপালে তা কার্যকর করা বাস্তবসম্মত হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy