Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দেউলিয়া বিধির লক্ষ্য শুধু বকেয়া আদায় নয়

সাহুর যুক্তি, ঋণদাতারা যদি দেউলিয়া বিধির অস্ত্র হাতে নিয়ে শুধুমাত্র তাদের পাওনা আদায়ে নামে, তা হলে খেলাপি সংস্থাগুলি কোনও দিনই উঠে দাঁড়াতে পারবে না। সে জন্য এই আইনের সাহায্য নিয়ে ঋণখেলাপি সংস্থার পুনর্গঠনই সংশ্লিষ্ট পক্ষের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২৮
Share: Save:

দেউলিয়া বিধি তৈরি ও তা কার্যকর করতে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি) গঠনের পরে খেলাপি ঋণ উদ্ধারের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১২ হাজার। পরিসংখ্যান বলছে, কিছু ক্ষেত্রে উদ্ধারও হয়েছে বকেয়ার একাংশ। এই অবস্থায় দেউলিয়া বিধি পর্ষদের চেয়ারপার্সন এম এস সাহুর দাবি, এই আইনে খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় ঠিকই। তবে বিধিটির আসল উদ্দেশ্য, খেলাপি সংস্থাগুলির পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবনের ব্যবস্থা করা। যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঋণ মেটাতে পারে তারা।

সাহুর যুক্তি, ঋণদাতারা যদি দেউলিয়া বিধির অস্ত্র হাতে নিয়ে শুধুমাত্র তাদের পাওনা আদায়ে নামে, তা হলে খেলাপি সংস্থাগুলি কোনও দিনই উঠে দাঁড়াতে পারবে না। সে জন্য এই আইনের সাহায্য নিয়ে ঋণখেলাপি সংস্থার পুনর্গঠনই সংশ্লিষ্ট পক্ষের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেই পথে হাঁটতে গিয়ে যদি বকেয়া উদ্ধার হয়, তা হলে কিছু বলার নেই। সাহুর দাবি, তবে শুধু ঋণ উদ্ধারে একে ব্যবহার করলে বিধির আসল লক্ষ্যই মাঠে মারা যাবে। বরং বকেয়া আদায়ে নামা উচিত পুনর্গঠিত সংস্থা ফের আয় করতে শুরু করলে।

২০১৬ সালের মে মাসে দেউলিয়া আইন চালু হয়। মূল উদ্দেশ্য, ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ কমানো। আইন অনুযায়ী কোনও সংস্থা ধার ফেরত না দিলে, তার বিরুদ্ধে ঋণদাতারা মামলা করতে পারে। একাংশের অভিযোগ, বহু কাঠখড় পোড়ানোর পরেও বকেয়া ঋণের পুরোটা ফেরত পাওয়া যায় না। সংস্থা পুনরুজ্জীবনে লেগে যায় নির্দিষ্ট সময়ের চেয়েও বেশি সময়। সেই প্রসঙ্গেই সাহুর দাবি, প্রশ্ন হল বকেয়া উদ্ধার কি সংস্থাটির পুনর্গঠনের সুবিধা করে দিচ্ছে। যদি না হয়, তবে দেউলিয়া বিধির লক্ষ্য পূরণ হল না।

অন্য বিষয়গুলি:

NCLT Bankruptcy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE