দেশের আর্থিক পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। ফলে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থা থেকেই কাজ শুরুর সুযোগ পাবে নতুন সরকার। মনে করছে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম।
আর্থিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে। বণিকসভাটি অবশ্য রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে নয়, আর্থিক মাপকাঠিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, যে-সরকারই আসুক না কেন, তারা কিছুটা এগিয়ে থেকেই কাজ শুরু করবে। উল্লেখ্য, বছরখানেক ধরে চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার, ঊর্ধ্বগামী রাজকোষ ঘাটতি, কৃষি উৎপাদনে টান ইত্যাদির জেরে নাজেহাল ছিল কেন্দ্রের বিদায়ী ইউপিএ সরকার। যার প্রভাব পড়ে দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতিতে। সুদের হারে টানা লাগাম পরাতে বাধ্য হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এখন সে সব অতীত বলেই মনে করছে অ্যাসোচ্যাম। বণিকসভার প্রেসিডেন্ট রানা কপূর বলেন, “চিনে মন্দার মতো বিশ্ব জুড়ে কয়েকটি ঘটনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার চলতি খাতে লেনদেন ঘাটতি হ্রাসের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয় দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে সাহায্য করছে।”
বণিকসভাটি মনে করছে, মূল্যবৃদ্ধির হারে নিম্নগতি, টাকার উত্থান বা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন অর্থমন্ত্রীর চিন্তা অনেকটাই দূর করবে। এ জন্য সরাসরি বিদায়ী সরকারকে কৃতিত্ব না-দিলেও গত কয়েক মাসে নির্বাচনের চাপ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপকেই সাধুবাদ দিয়েছে তারা। আর তাই বণিকসভাটির আশা, আর্থিক পুনরুজ্জীবনের পথে নতুন সরকার অনেকটা ভাল অবস্থায় থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy