নির্মাণ শিল্পে বিদেশি লগ্নির শর্ত শিথিল করল কেন্দ্র। লক্ষ্য এই ক্ষেত্রে পুঁজি ঢালা ও লগ্নি গুটিয়ে নেওয়ার নিয়ম-কানুন সহজ করে বিদেশি বিনিয়োগ টানা। নয়া নীতি কার্যকর করতে বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় শিল্পনীতি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দফতর। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত ২৯ অক্টোবর যে-প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল, এ দিন তার থেকেও কিছুটা সরে এসে লগ্নি গুটিয়ে নেওয়ার নিয়ম আরও সরল করল মোদী সরকার।
নতুন হোটেল, আবাসন, স্মার্ট সিটি ও দরিদ্রদের জন্য কম খরচের আবাসন তৈরিতে উৎসাহ দিতেই কেন্দ্রের এই উদ্যোগ। প্রসঙ্গত, ২০২০-র মধ্যে ১০০টি নতুন স্মার্ট সিটি তৈরির অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ ক্ষেত্রে বিদেশি পুঁজির একটি বড় ভূমিকা থাকবে। সে কারণেই এ ক্ষেত্রে সহজে লগ্নির সুযোগ করে দিল কেন্দ্র। নয়া নীতিতে বিদেশি লগ্নি-সহায়ক সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে রয়েছে:
• প্রকল্প শেষ হলে, এমনকী রাস্তা তৈরি, জল সরবরাহ, আলো, নিকাশি ব্যবস্থার মতো পরিকাঠামো গড়া হলেই চাইলে লগ্নি গুটিয়ে নিতে পারবেন বিদেশিরা। অক্টোবরে এ ক্ষেত্রে আরও কিছুটা কড়াকড়ি ছিল। বলা হয়েছিল প্রকল্প শেষ হলে কিংবা লগ্নির তিন বছর বাদে তবে বিনিয়োগ ফিরিয়ে নেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রেও বলা হয়েছিল, ওই ধরনের পরিকাঠামো তৈরি হলে তবেই লগ্নি গুটিয়ে নিতে পারবে বিদেশি সংস্থা। বিদেশিদের ঢালাও সুবিধা দিয়ে বাড়তি পুঁজি টানতে চায় কেন্দ্র।
• প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির জন্য ন্যূনতম ফ্লোর এরিয়া ২০ হাজার বর্গ মিটার হলেই চলবে। এত দিন তা ছিল ৫০ হাজার বর্গ মিটার।
• ন্যূনতম মূলধন ১ কোটি ডলার থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০ লক্ষ ডলারে।
• সার্ভিসড-প্লট গড়ার ক্ষেত্রে আগে অন্তত ১০ হেক্টর জমি থাকার শর্ত ছিল। তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৈরি প্রকল্প, আবাসন, শপিং মল ইত্যাদির জন্য ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নি অনুমোদিত হয়েছে ২০০৫ সাল থেকেই। তবে বিভিন্ন শর্তের জালে পড়ে তেমন লগ্নি আনা যায়নি। এ বার বিদেশি লগ্নির পথ সুগম হবে এবং তুলনায় ছোট প্রকল্প বা কম খরচের আবাসনও বিদেশি পুঁজিতে নির্মাণ করা যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy