এক লপ্তে ২৫০টি এয়ারবাস এ-৩২০ বিমানের ‘নিও’ মডেলের বরাত দিয়ে নজির গড়ল ভারতীয় সংস্থা ইন্ডিগো।
ইউরোপের সংস্থা এয়ারবাস এর আগে কোনও একটি বিমান সংস্থার কাছ থেকে এক সঙ্গে এত বেশি সংখ্যক বরাত পায়নি বলে দুই সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে বুধবার জানানো হয়েছে। বরাত অনুযায়ী এয়ারবাস এ-৩২০-র অত্যাধুনিক ‘নিও’ মডেলের ২৫০টি বিমান ২৫৫০ কোটি ডলার বা ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকায় কিনবে ভারতের সস্তার বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগো। প্রতিটি এ-৩২০ নিও বিমানের দাম ১০ কোটি ২৮ লক্ষ মার্কিন ডলার (৬২৭.০৮ কোটি টাকা)। এ ব্যাপারে এয়ারবাসের সদর দফতর ফ্রান্সের তুলুজে সংস্থাটির সঙ্গে এক সমঝোতাপত্র বা মউ সই করেছেন ইন্ডিগোর দুই প্রতিষ্ঠাতা রাকেশ গঙ্গোয়াল ও রাহুল ভাটিয়া। ইন্ডিগো-র মূল সংস্থা ইন্টার গ্লোব এন্টারপ্রাইজেস-এরও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভাটিয়া।
এই মুহূর্তে ভারতের একমাত্র লাভে চলা বিমান সংস্থা ইন্ডিগো-র প্রেসিডেন্ট আদিত্য ঘোষ এ দিন দাবি করেন, ওই ২৫০টি এয়ারবাস পেয়ে গেলে যাত্রী ভাড়া কমানো সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, বাড়তি কর্মসংস্থানেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে বিমান পরিষেবাকে মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনতে আমরা কৃতসংকল্প। এই বরাত আমাতের সেই দায়বদ্ধতারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।” পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে এয়ারবাসের এগ্জিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (বাণিজ্য-কৌশল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দফতর) কিরণ রাও বলেছেন, “ভারতে বিমান পরিষেবার সম্প্রসারণে নতুন সরকার যে-ভাবে উদ্যোগী, তাতে এ ধরনের আরও বরাত মিলবে বলে আমরা আশাবাদী।” ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, আগেই দু’দফায় ২৮০টি এয়ারবাসের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১০০টি এ-৩২০ বিমানের বরাত দেওয়া হয় ২০০৫ সালে, আরও ১৮০টি এ-৩২০ নিও-র ২০১১ সালে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮৩টি এ-৩২০ হাতে পেয়েছে ওই বিমান সংস্থা। বাকি বিমানগুলি পাওয়ার আগেই আরও ২৫০টি এয়ারবাসের জন্য এই চুক্তি সই করল ইন্ডিগো। ২০১১ সালের নিও বিমানগুলি সংস্থার হাতে আসতে শুরু করবে আগামী বছর থেকে। প্রসঙ্গত, নিও মডেলের বিমানগুলির অন্যতম প্রথম ক্রেতার তালিকায় রয়েছে ইন্ডিগো। এয়ারবাসের দাবি, এগুলি জ্বালানি সাশ্রয়কারী বলে বিমান সংস্থার খরচ কমাতে সাহায্য করবে। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে চালু হওয়ার পরে ভারতে বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বাজার দখল সবচেয়ে বেশি ইন্ডিগোরই। এখন তা এক তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে বলে দাবি ভারতে বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ-র।
বিস্তারার প্রথম এ৩২০। টাটার সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগ বিস্তারা এয়ারলাইনের প্রথম এয়ারবাস এ-৩২০ বিমানটি বুধবার নয়াদিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেছে। বিমানবন্দরে জল কামান দিয়ে ওই বিমানটিকে স্বাগত জানানো হয়। বিস্তারা জানিয়েছে, জে আর ডি টাটার প্রথম করাচি থেকে বম্বে বাণিজ্যিক যাত্রী বিমান চালানোর এ দিনই ছিল ৮২তম বার্ষিকী। তাই এ দিন আনা হয় বিমানটিকে। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিমানটি এলেও সেটির উপর বিস্তারার লোগো ইত্যাদি আঁকার জন্য সেটি পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy