Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
US Presidential Election 2024

গর্ভপাত নিয়ে আমেরিকায় কী সমস্যা তৈরি হয়েছে? নির্বাচনের সমীকরণে তা কী প্রভাব ফেলতে পারে?

২০২২ সালের পর থেকে আমেরিকায় গর্ভপাত নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে। অনেক প্রদেশেই নারীদের গর্ভপাতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ।

গর্ভপাত সংক্রান্ত জটিলতা আমেরিকার ভোটের অন্যতম নির্ণায়ক।

গর্ভপাত সংক্রান্ত জটিলতা আমেরিকার ভোটের অন্যতম নির্ণায়ক। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৬
Share: Save:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম মূল নির্ণায়ক হিসাবে উঠে এসেছে গর্ভপাত এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যা। হোয়াইট হাউসের কুর্সিতে আগামী চার বছরের জন্য কে বসবেন, তা ঠিক করতে ভোট দিয়েছেন আমেরিকানরা। একে একে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল। তাতেই দেখা গিয়েছে, নির্বাচনের নির্ণায়ক হিসাবে উঠে এসেছে তিনটি মূল বিষয়, যার মধ্যে অন্যতম গর্ভপাত। কিন্তু গর্ভপাত নিয়ে আমেরিকায় কী সমস্যা তৈরি হয়েছে? জটিলতাই বা কী? কী ভাবে তা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করতে পারে?

২০২২ সালের পর থেকে আমেরিকায় গর্ভপাত নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে। অনেক প্রদেশেই নারীদের গর্ভপাতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে আমেরিকার অন্তত ১৩টি প্রদেশে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া মহিলাদের গর্ভাবস্থার সমস্ত পর্যায়ে গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আরও চারটি প্রদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছ’সপ্তাহ পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ। যে সময়ের আগে অনেকে গর্ভাবস্থার কথা জানতেও পারেন না।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমেরিকায় গর্ভপাত বন্ধ হয়নি। বরং সম্প্রতি মাসিক হিসাব বলছে, বিভিন্ন প্রদেশে গর্ভপাতের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। গর্ভপাতের বড়ি বা ট্যাবলেটের ব্যবহার বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া, বিভিন্ন জায়গায় নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সংগঠিত ভাবে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভপাতে সাহায্য করা হচ্ছে বলেও দাবি বিভিন্ন আমেরিকান সংবাদমাধ্যমে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কসভাতেও অন্যতম মূল বিষয় হয়ে উঠেছিল এই গর্ভপাতজনিত সমস্যা। মুখোমুখি বসে তা নিয়ে তর্ক করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। বিতর্কসভায় অবশ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ হওয়ার নেপথ্যে ট্রাম্পের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন হ্যারিস। নিজেকে তিনি গর্ভপাতের সমর্থক, মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সংবেদনশীল হিসাবে তুলে ধরেছেন। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মাতৃস্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁর, জানিয়েছেন হ্যারিস।

২০২২ সালে একটি মামলায় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত বন্ধের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তার পর থেকেই দেশ জুড়ে গর্ভপাত বিরোধী বিভিন্ন নির্দেশ জারি হতে শুরু করে। গর্ভপাতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় বিভিন্ন প্রদেশে। যা অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং তাঁদের নিকটজনদের ক্ষুব্ধ করেছে। আগামী চার বছরে বিভিন্ন প্রদেশের সংবিধানে গর্ভপাত নিয়ে কী নিষেধাজ্ঞা থাকে, তা ভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চান অনেকেই। সিবিসি নিউজ়-এর বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, তাদের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আমেরিকানদের পাঁচ শতাংশ মনে করছেন, গর্ভপাত সমস্যা ভোটের নির্ণায়ক হতে পারে। অর্থাৎ, তাঁরা ওই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ভোট দিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy