আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঙ্কারমূলক রণনীতির থেকে আজ দৃশ্যত বেশ কিছুটা ভিন্ন অবস্থান নিলেন সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। জয়পুরের এক
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি বললেন, “এখন আমরা এখানে কোনও জ্ঞান দিতে বা প্রচার করতে আসছি না। যে কোনও কাজ আমরা যে ভাবে বলব, সে ভাবেই করতে হবে এমনটা নয়। এর আগে ওয়াশিংটন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে জ্ঞান দেওয়ার ভঙ্গিতে কথা বলত।”
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুল্ক নিয়ে ভারতকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করে গিয়েছেন। অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। ভান্স অবশ্য তাঁর চলতি ভারত সফরে এর আগের জো বাইডেন প্রশাসনকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, “এর আগের আমেরিকার প্রশাসন ভারতকে দেখতো কম দামী শ্রমিকের উৎস হিসেব, তারা কথায় কথায় মোদী সরকারের সমালোচনা করত। কিন্তু এই সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমি গতরাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেছি, তাঁর যে জনপ্রিয়তার সূচক তাতে আমি ঈর্ষান্বিত!”
মঙ্গলবার তাঁর ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে জয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভান্স ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাণিজ্যচুক্তি শর্তাবলির রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। বিশ্বাস করি, এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবনার বাস্তবায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’’
শুধু তা-ই নয়, মোদীর সঙ্গে দর কষাকষি করা ‘কঠিন’ (টাফ নেগোশিয়েটর) বলেও উল্লেখ করেছেন ভান্স। মোদীকে আমেরিকার সম্মানের নেপথ্যে এটিই প্রধান কারণ বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)