Advertisement
১১ নভেম্বর ২০২৪

ট্রাম্প-ম্যার্কেল তরজা নেটোয়

ব্রাসেলসে নেটো-র শীর্ষ সম্মেলন গোড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পরোক্ষ তরজায়। এবং বোঝা গেল, সম্মেলন অন্যান্য বারের মতো মসৃণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
ব্রাসেলস শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৮
Share: Save:

ইনি খোঁচা দিয়েছিলেন ‘রাশিয়ার বন্দি’ বলে। উনি পাল্টা বললেন, ‘‘সোভিয়েত-নিয়ন্ত্রিত জার্মানি আমি নিজে দেখেছি। আজ আমরা মুক্ত।’’ ইনি তুললেন ইউরোপের নিরাপত্তায় কার্পণ্যের অভিযোগ। উনি পাল্টা হিসেব-সহ তা খণ্ডন করলেন।

ব্রাসেলসে নেটো-র শীর্ষ সম্মেলন গোড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পরোক্ষ তরজায়। এবং বোঝা গেল, সম্মেলন অন্যান্য বারের মতো মসৃণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের হারের দিনেই ব্রাসেলসে এসেছেন ট্রাম্প। আর ডাইনিং টেবিলের বৈঠকে নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গকে বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি, জার্মানি রাশিয়ার হাতে বন্দি।’’ সেই বৈঠকের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই।

কেন এ কথা ট্রাম্পের? মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ‘‘আমাদের উচিত রাশিয়াকে ঠেকানো। জার্মানি উল্টে তাদের সঙ্গে তেল আর গ্যাসের চুক্তি করে চলেছে। বছরে কোটি কোটি ডলার দিচ্ছে রাশিয়াকে। নতুন পাইপলাইন বসছে, যা দিয়ে জার্মানির প্রয়োজনীয় জ্বালানির ৬০-৭০ শতাংশই আসবে রাশিয়া থেকে।’’ ট্রাম্পের আরও অভিযোগ, বহু জার্মান নেতা এখন রাজনীতি ছেড়ে রাশিয়ার তেল-গ্যাস সংস্থাগুলিতে কাজ করেন। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নেটো চেয়ারম্যানকে ট্রাম্প বলছেন, ‘‘আপনি বলুন, এগুলো কি ঠিক? আমি মনে করি, ঠিক নয়। তার উপরে নেটোর নিরাপত্তা খাতে জার্মানি দিচ্ছে তাদের জিডিপি-র ১ শতাংশের সামান্য বেশি। আমেরিকা দিচ্ছে ৪.২ শতাংশ। এটাও তো ঠিক নয়।’’ তবে ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, জার্মানির নাম করলেও নেটো-সদস্য আরও কিছু দেশ রয়েছে তাঁর নিশানায়।

আজ এই সমস্ত অভিযোগেরই জ্বালাময়ী জবাব দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। সোভিয়েত-শাসিত পূর্ব জার্মানিতে বড় হয়েছেন ম্যার্কেল, দেখেছেন বার্লিন প্রাচীর তৈরি হতে। আজ তিনি বলেন, ‘‘জার্মানির একটা অংশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, আমি নিজে তার সাক্ষী। খুব গর্ব হচ্ছে বলতে যে, আজ স্বাধীনতা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত, নীতি নিজেরা ঠিক করি। বিশেষত পূর্ব জার্মানির মানুষগুলোর জন্য এটা খুবই ভাল হয়েছে।’’

নেটোর প্রতি অবহেলা নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগও উড়িয়েছেন ম্যার্কেল। বলেছেন, ‘‘নেটোয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা জার্মানিই পাঠায়। আফগানিস্তানেও রয়েছি আমরা। বলতে গেলে, আমেরিকার উপকারই করছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump NATO Angela Merkel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE