বিস্ফোরণস্থলের ছবি। ছবি: টুইটার।
উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪। আহত ২০০ জনেরও বেশি। ইতিমধ্যেই হামলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেওয়া সমর্থকদের তাঁবুতে হঠাৎই আলোর ঝলকানি। মুহূর্তের জন্য কেঁপে উঠছে গোটা এলাকা। তারপরই প্রাণ বাঁচাতে নানা দিকে দৌড়চ্ছেন মানুষজন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনার ভয়াবহতার কথা জানিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল্লা খান বলেন, “সমর্থকদের জন্য তৈরি করা তাঁবুর একাংশ মুহূর্তের মধ্যে ঝলসে যায়। প্রাণ বাঁচাতে সবাই যে যার দৌড়তে শুরু করেন। চাইলেও অনেককে বাঁচাতে পারিনি।” আর এক প্রত্যক্ষদর্শী সাবেহউল্লা ওই সংবাদ সংস্থাকেই বলেন, “মুহূর্তের মধ্যে দেখি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহের টুকরো, চাপ চাপ রক্ত আর কিছু প্রাণহীন দেহ।” রবিবার গভীর রাতে সে দেশের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ় আনোয়ার জানিয়েছেন, ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তবে সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
#Pakistan: At least 35 killed, 200 injured in suicide #blast targeting JUI-F workers in Bajaur
— Shailendra Pandey (@shailfilm) July 30, 2023
Video might be of this incident pic.twitter.com/1U2iicttra
রবিবার পাকিস্তানের আফগান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একটি রাজনৈতিক সমাবেশ করছিল উলেমা-ই-ইসলাম-এফ (জেইউআই-এফ) বলে একটি দল। সেই সমাবেশকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়। এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও পক্ষ। তবে অনেকেই এর নেপথ্যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসের হাত দেখছেন। তাঁদের মতে, তার কারণ, সাম্প্রতিক কালে জেইউআই-এফের উপর এই ধরনের বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে আইএস।
পাকিস্তানের শাসক জোটের অন্যতম শরিক দল জেইউআই-এফ আফগান সীমান্ত লাগোয়া খার শহরে দলীয় সভার আয়োজন করেছিল। সংগঠনের অন্তত ৪০০ কর্মী-সমর্থক সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। বক্তা হিসাবে ছিলেন দলের প্রধান তথা সে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মগুরু মৌলানা ফজলুর রেহমান। সভা চলার সময়ে হঠাৎই বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এই ঘটনার পর সংগঠনের কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন জেইউআই-এফের প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘জেইউআই কর্মীদের এই সময় শান্ত থাকা জরুরি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy