(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেন ডান দিকে। —ফাইল চিত্র।
আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর বিদায়ের পরেই আমেরিকায় ‘বিপজ্জনক গোষ্ঠীশাসন’ শুরু হতে চলেছে। বুধবার ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণে এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউসে তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম না নিলেও বিদায়ী ভাষণে বাইডেনের ‘নিশানা’ ছিল স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘বিপুল সম্পদ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি নিয়ে একটি অভিজাত গোষ্ঠীর শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। আমাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’’
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ২০১৬-২০ সালে নানা বিতর্কিত পদক্ষেপ করেছিলেন। সে দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বুধবার বলেন, ‘‘আমেরিকার নাগরিকদের ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। খর্ব হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা।’’ জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ এবং পরিবেশ রক্ষায় তাঁর সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলি ট্রাম্পের জমানায় অনুসৃত হবে কি না, সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বাইডেনে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নিজের দলের অন্দরেই। গত বছরের অগস্টে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে তিনি নিজেই দলের প্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম সুপারিশ করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিদায়বেলায় সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল বাইডেনের গলায়। গত ১০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ বারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি ট্রাম্পকে হারাতাম। হ্যাঁ, পারতাম এবং আমি মনে করি কমলাও ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন।’’ যদিও নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বলছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলাকে ইলেক্টোরাল কলেজে বিপুল ব্যবধানে (৩১২-২২৬) পিছনে ফেলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। সোমবার তাঁর হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে অধিষ্ঠানের পালা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy