পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মেহুল চোকসীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল বেলজিয়ামের আদালত। এর ফলে তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল হল বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল এবং তাঁর স্ত্রী ২০২৩ সাল থেকে বেলজিয়ামে বসবাস করছিলেন। স্বাস্থ্যের কারণে জামিনের আর্জি জানালেও তা মঙ্গলবার খারিজ হয়ে গিয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল বেলজিয়ামের পুলিশ একটি হাসপাতাল থেকে ৬৫ বছরের মেহুলকে গ্রেফতার করেছিল। মেহুল রক্তের ক্যানসারের চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সিবিআইয়ের একটি দল বেলজিয়ামে গিয়ে মেহুলকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করবে বলে গত সপ্তাহে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
সিবিআই-ইডি কর্তারা অবশ্য মনে করছেন, বেলজিয়ামের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও মূলত তিনটি দিক থেকে বাধা আসতে পারে। প্রথমত, মেহুল অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে রেখেছেন। দ্বিতীয়ত, শারীরিক অবস্থার কারণ দেখিয়ে মেহুলের ভারতে ফেরায় আপত্তি তুলতে পারেন তাঁর আইনজীবীরা। তৃতীয়ত, এর আগে মেহুল ডমিনিকান রিপাবলিকে ধরা পড়ার পরে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। সেই যুক্তি দিয়ে মেহুলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হতে পারে।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় মেহুলের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের আদালতের দু’টি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। মেহুলকে প্রত্যর্পণের জন্য মূলত আদালতের এই পরোয়ানাকেই হাতিয়ার করা হবে। ২০১৮-য় মেহুল সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। গত সাত বছর ধরে পলাতক হিরে ব্যবসায়ীর মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটের দেখভালের খরচ বাকি পড়ে রয়েছে। মুম্বইয়ের মালাবার হিল এলাকায় একটি আবাসনের নবম, দশম এবং একাদশ তল মিলিয়ে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে মেহুলের। ওই আবাসনের সদস্যেরা জানান, ফ্ল্যাটের দেখভাল বাবদ ৬৩ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে তাঁর।