Advertisement
E-Paper

মার্কিন শুল্ককে অর্থনীতির ‘অস্ত্র’ বলে বিঁধল চিন! ট্রাম্পের পাল্টা: আমেরিকা আর বোবা, অসহায় চাবকানোর খুঁটি হয়ে থাকবে না

চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। পাল্টা চিনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। দুই দেশের শুল্কসংঘাতের মাঝে ফের চিনকে নিশানা ট্রাম্পের।

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪৬
Share
Save

আমেরিকা শুল্কনীতিকে অর্থনীতির ‘অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে চিন। এ বার বেজিংকে পাল্টা বিঁধলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সমাজমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা আর ‘বোবা অসহায় চাবকানোর খুঁটি’ হয়ে থাকবে না। গত বুধবার ট্রাম্প যে দেশগুলির পণ্যের উপর নয়া শুল্কনীতি ঘোষণা করেছেন, সেই তালিকায় রয়েছে চিনও। আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনও।

আমেরিকা এবং চিনের শুল্কযুদ্ধের মাঝে দু’দেশ থেকেই প্রতিক্রিয়া এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। শুক্রবারই ট্রাম্প কড়া বার্তা দিয়েছেন। মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে চিন ‘ভুল করল’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আবার বেজিংও দাবি করেছে, পণ্যের উপর শুল্ককে অর্থনৈতিক ‘অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন। শুল্কযুদ্ধ ঘিরে এই উত্তেজনার মাঝে শনিবার সন্ধ্যায় (ভারতীয় সময় অনুসারে) ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আমেরিকার চেয়েও বেশি ধাক্কা খেয়েছে চিন, ধারেকাছেও নেই। চিন এবং আরও অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। আমরা বোবা এবং অসহায় চাবকানোর খুঁটি হয়ে থেকেছি, কিন্তু আর নয়।”

ট্রাম্পের দাবি, তিনি আমেরিকায় বাণিজ্যের হাল ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। আমেরিকাতে এক অর্থনৈতিক বিপ্লব চলছে। এই বিপ্লবে আমেরিকা সফল হবে বলে প্রত্যয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “এটি সহজ হবে না, কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল হবে ঐতিহাসিক।” সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, শনিবারই চিনা বিদেশ মন্ত্রক আমেরিকার শুল্কনীতিকে ‘অর্থনীতির অস্ত্র’ বলে নিশানা করেছে। চিনের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যকে আমেরিকা শুল্কের মাধ্যমে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বেজিংয়ের। আমেরিকা যাতে এই সংঘাতের পথ থেকে সরে যায়, সেই ‘অনুরোধ’ও করেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে নেমেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসেই তিনি ঘোষণা করেন, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত পরিমাণ শুল্ক নেয়, আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের উপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক আরোপ করবে! সেই মতো গত বুধবার বিভিন্ন দেশের উপর বিভিন্ন পরিমাণ শুল্ক আরোপ করে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি অনুসারে, আমেরিকার বাজারে আমদানি করা চিনা পণ্যের ক্ষেত্রে বাড়তি ৩৪ শতাংশ শুল্ক গুনতে হবে। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত যে ভাল ভাবে নেয়নি তা শুক্রবার বুঝিয়ে দিয়েছে বেজিং। তারাও মার্কিন পণ্যের উপর সমহারে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করে।

Donald Trump USA China Tariff War

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}