পার্লামেন্টের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার ৫৭ মিনিটের মাথায় সিরিয়ায় তোপ দাগল ব্রিটেনের যুদ্ধবিমান!
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশ পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সাইপ্রাসের আক্রোতিরি বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে গেল রয়্যাল এয়ারফোর্সের চারটি টর্নেডো। সিরিয়ার জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে দিনভর চলল বোমাবর্ষণ। পরে স্কটল্যান্ডের একটি বিমানঘাঁটি থেকে আরও ছ’টি টাইফুন এবং দু’টি টর্নেডো সিরিয়ায় উড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আজ ব্রিটিশ বিমানের লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের দখলে থাকা ওমর তেলখনি। যদিও এ নিয়ে রাত পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে প্রতিরক্ষা সচিব মাইকেল ফ্যালোর মতে, হামলা ‘সফল’ হয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ায় জঙ্গিনিধন যুদ্ধে ২০১৪ থেকেই মার্কিন যৌথ বাহিনীর অন্যতম শরিক ব্রিটেন। তবে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে সম্প্রতি শরিকি জোটের পাশাপাশি একক ভাবে সিরিয়ায় বিমান হানার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কারণ, আইএস জঙ্গিদের হাতে একাধিক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর মুণ্ডচ্ছেদ, জেহাদি জন-সহ বেশ কয়েক জন বড় মাপের জঙ্গির ব্রিটেন যোগ সামনে আসা এবং লন্ডনে নাশকতা ছড়ানোর একের পর এক হুঁশিয়ারি। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রিটেনের নিরাপত্তার প্রশ্নে আপোষ না করে জঙ্গিযুদ্ধে আরও জোরদার পদক্ষেপের দিকেই এগোতে চাইছিলেন ক্যামেরন। ২০১৩ সাল থেকেই অবশ্য সিরিয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন ক্যামেরন। দু’বছর আগে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে চেয়ে হাউস অব কমনসের অনুমতিও চান তিনি। সে বার ভোটাভুটিতে হেরে যান। সম্প্রতি প্যারিস-কাণ্ডের পর অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে। এ বার সিরিয়া নিয়ে ভোটাভুটির আগে পার্লামেন্টে ক্যামেরন প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘আমাদের কী করা উচিত? শরিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের কি জঙ্গিঘাঁটিতে গিয়ে এদের শেষ করে দেওয়া উচিত, নাকি কবে জঙ্গিরা আমাদের আক্রমণ করবে সে জন্য অপেক্ষা করা উচিত?’’ স্পষ্ট জবাব মিলেছে। ৬৫০টির মধ্যে ৩৯৭টি ভোটই পড়েছে ক্যামেরনের পক্ষে।
অন্য দিকে, সিরিয়ার সীমান্তে রুশ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানোর ঘটনা নিয়ে আজ ফের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘটনা রুশ সরকার মনে রাখবে বলে মন্তব্য করে পুতিনের দাবি, ‘‘আমরা জানি তুরস্কের কারা জঙ্গিদের তেল পাচারে সাহায্য করে নিজেটের পকেট ভারী করে! সেই টাকা দিয়েই তো জঙ্গিরা অস্ত্র কিনছে।’’ আসাদের সমর্থনে সিরিয়ায় লাগাতার রুশ বিমান হানার জবাব দিতে গত কাল ইন্টারনেটে এক রুশ নাগরিকের মুণ্ডচ্ছেদের ভিডিও পোস্ট করেছে আইএস। সেখানে ওই ব্যক্তি নিজেকে রুশ গোয়েন্দাদের চর বলে জানিয়েছেন। ক্রেমলিন অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy