(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটদান পর্ব। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এই সময় যুযুধান দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস কী করছেন, তা জানতে উৎসুক অনেকেই।
ট্রাম্প এবং কমলা, দু’জনের নজরেই রয়েছে ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান প্রদেশগুলি। তাই ভোটের আগেও দু’জনে সময় ব্যয় করলেন এই প্রদেশগুলিতে। ট্রাম্প প্রচার করেন মিশিগান প্রদেশে। সেখানে টানা প্রায় দু’ঘণ্টা বক্তৃতা করেন। মঞ্চ থেকে ট্রাম্পকে জেতানোর আবেদন জানান তাঁর তিন পুত্র টিফানি, এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র। অন্য দিকে, পেনসিলভেনিয়ায় প্রচার করেন কমলা। সেখানকার কয়েকটি বুথে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
দোদুল্যমান প্রদেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ রয়েছে পেনসিলভেনিয়ায়—১৯টি। এই প্রদেশে নির্বাচনী সাফল্যের উপরে দুই প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পেনসিলভেনিয়ায় হারলে ট্রাম্প কিংবা কমলা, দু’জনেরই হোয়াইট হাউসে ঢোকার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৯৮০ থেকে আমেরিকার বেশ কয়েকটি প্রদেশে রিপাবলিকানেরা জয়ী হয়ে আসছেন। দলের রং অনুসারে এই প্রদেশগুলিকে ‘রেড স্টেটস’ বলা হয়ে থাকে। আবার ১৯৯২ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি প্রদেশে জয়ী হচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। দলের রং অনুসারে এই প্রদেশগুলিকে ‘ব্লু স্টেটস’ বলা হয়ে থাকে। এর বাইরে আছে দোদুল্যমান প্রদেশগুলি। তাই এই প্রদেশগুলির ভোটের ফল দুই শিবিরের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ট্রাম্প এবং কমলার মধ্যে কে জয়ী হবেন, তা ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্ধারিত হবে না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে (ফেডারেল) নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জয়ী-পরাজিত নির্ধারিত হবে একেকটি প্রদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই প্রদেশের সব ক’টি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। যেমন, টেক্সাসে ৪০ জন ইলেক্টর রয়েছেন। কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি এই প্রদেশে বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রদেশের ৪০ জন ইলেক্টরকে জিতে নেবেন। ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট হতে এক জন প্রার্থীকে ইলেক্টোরাল কলেজের ন্যূনতম ২৭০টি ভোট পেতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy