স্যাঁ শার্ল স্টেশনের সামনে পাহারায় ফরাসি পুলিশ। ছবি: রয়টার্স।
দুই মহিলাকে ছুরি মেরে খুনের পরে আততায়ীর মুখে শোনা গিয়েছিল ‘আল্লা হো আকবর।’ কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফরাসি পুলিশের গুলিতে প্রাণ যায় সেই ব্যক্তির। বন্দর-শহর মার্সেইয়ের প্রধান রেল স্টেশনে রবিবারের এই ঘটনায় ফের সন্ত্রাসের আতঙ্ক ফিরল ফ্রান্সে। গত দু’বছরে ভয়াবহ কিছু জঙ্গি হামলার সাক্ষী এই দেশ। ২০১৫ সালে প্যারিসের বিভিন্ন জায়গা জঙ্গি হানার কবলে পড়ে। আর তার পরের বছর নিস-এ জঙ্গির ঘাতক ট্রাক পিষে মেরেছিল ৮৬ জনকে।
২০১৫ সালে প্যারিসে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ দেশে গড়ে তোলা হয়েছিল ‘অপারেশন স্যাঁতিনেল।’ সেনার এই বিরাট বাহিনী ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় নজরদারি চালায়। এ দিনের ঘটনাতেও এই বাহিনীর সেনাই তৎপর হয়ে কাবু করেছে আততায়ীকে। পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, আততায়ীর ছুরির আঘাতে দুই মহিলা মারা গিয়েছেন। মার্সেইয়ের যে স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই স্যাঁ শার্ল-এর আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের আপাতত না যাওয়াই ভাল— জানিয়েছে পুলিশ।
ওই সময়ে স্টেশনে থাকা এক মহিলা প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে উঠে এসেছে ঘটনার ছবি। তিনি জানিয়েছেন, স্টেশনে হঠাৎ এক ব্যক্তি শার্টের হাতা থেকে ছুরি বার করে চড়াও হয় এক যুবতীর উপরে। তার পরেই যুবতীর পাশে থাকা মহিলার উপরেও নেমে আসে ছুরির কোপ। এই সময়েই লোকটির মুখে শোনা যায় ‘আল্লা হো আকবর।’ প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ওই এলাকায় টহলরত ‘অপারেশন স্যাঁতিনেল’-এর সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার পরে পুলিশ স্যাঁ শার্ল স্টেশন খালি করে দিয়েছে। মার্সেই যাচ্ছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কোলম।
ফ্রান্সের বিভিন্ন সিনাগগ থেকে শুরু করে আর্ট গ্যালারি, নার্সারি স্কুল থেকে মসজিদ, মেট্রো স্টেশন— শহরের সব জনবহুল জায়গায় কড়া নজর রাখেন ‘অপারেশন স্যাঁতিনেল’-এর সদস্যরা। এ দিন আততায়ীর হাতে দু’জন মহিলার প্রাণ গেলেও পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করেছে এই বাহিনীই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy