পাকিস্তানের কুট্টায় পুলিশ অ্যাকাডেমিতে জোড়া আত্মাঘাতী হামলায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। সোমবার রাত ১১টা ১০ নাগাদ পুলিশ অ্যাকাডেমির কোয়ার্টারে হানা দিয়ে ঘুমন্ত আবাসিকদের ওপর আচমকা হামলা চালায় তিন বন্ধুকবাজ। তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৭০০ জন আবাসিক ছিলেন পুলিশ কোয়ার্টারে।
অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটেছে দুই বন্ধুকবাজের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। তৃতীয় জন মারা যায় ফ্রন্টিয়ার পুলিশের পাল্টা গুলিতে। পাকিস্তানের ডন নিউজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই হামলায় অন্তত ১২০ জন আহত হয়েছেন। এই পুলিশকর্মী সাংবাদিকদের জানান, আমি দেখলাম মুখে কালো কাপড়ে ঢাকা, হাতে কালাশিকোভ বন্দুক নিয়ে তিন হামলাকারী হঠাত্ গুলি চালাতে শুরু করল। তারপরই দ্রুত ডরমিটরিতে ঢুকে পড়ে ওরা। কিন্তু আমি কোনও রকমে দেওয়াল টপকে পালিয়ে আসতে পেরেছিলাম।
কুট্টা শহরের ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই বালোচিস্তান পুলিশ কলেজ। বালোচিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সরফরাজ বুগতি সাংবাদিকদের জানান, ‘‘ওরা প্রথমে ওয়াচ টাওয়ার ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। গুলির লড়াইয়ে ওয়াচ টাওয়ারের রক্ষীর মৃত্যুর পরই মূল চত্বরে প্রবেশ করে হামলাকারীরা।’’
বালোচিস্তান পুলিশের মেজর জেনারেল শের আফগান জানান, ‘‘প্রায় তিন ঘণ্টা চলে হামলা ও পাল্টা গুলির লড়াই। জঙ্গিরা প্রত্যকেই আত্মঘাতী পোশাক পরেছিল। আফগানিস্তানের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছিল। দু’জন জঙ্গির আত্মঘাতী বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সাবধানতার সঙ্গে গোটা অপারেশন চালাতে হয়েছে। যে কারণে কোয়ার্টার চত্বর খালি করতে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। জঙ্গিদের কথপোকথন থেকে অনুমান করা হচ্ছিল তারা লস্কর-এ-জাঙভি জঙ্গিগোষ্ঠীর আল-আলিমি শাখার সদস্য। লস্কর-এ-জাঙভি তেহরিক-ই-তালিবান অনুমোদিত জঙ্গিগোষ্ঠী। যদিও পরে আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনে বিতর্ক বাঙালিনিকে নিয়ে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy