ভূমধ্যসাগরের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে বাগ্যুদ্ধ চরমে তুলল তুরস্ক-রাশিয়া। তুর্কি প্রেসিডেন্ট তাইপ এরদোগানের হুঁশিয়ারি, রাশিয়া আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুক। রুশ শিবির থেকে পাল্টা হুঙ্কার, সামরিকভাবেই তুরস্ককে জবাব দেবে রাশিয়া।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন, তা নরমে-গরমে মিলিয়ে। উত্তর-পূর্ব তুরস্কের বেবার্টে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আমরা সত্যিই খুব গুরুত্ব দিই। এই সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা আমরা কোনওভাবেই চাই না।’’ কিন্তু, এতেই থামেননি তুর্কি প্রেসিডেন্ট। শীতল কণ্ঠস্বরে হুমকি দেওয়ার ঢঙে তিনি সেই প্রসঙ্গেই বলেন, ‘‘খুব দায়িত্ব নিয়েই আমরা রাশিয়াকে পরামর্শ দিচ্ছি, আগুন নিয়ে না খেলতে।’’
রাশিয়ার তরফেও সুর বেশ চড়েছে। তুরস্কের মতো রাখঢাক করে কথা বলছে না রাশিয়া। অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করে তুরস্কের অর্থনীতিকেই বিপর্যস্ত করার হুমকি দিয়েছে মস্কো। তার জবাব এ দিন দিয়েছেন এরদোগান। তিনি বলেন, রাশিয়া যে অর্থনৈতিক অবরোধের কথা বলছে, তা ‘আবেগজনিত’ ও ‘অনুচিত’ মন্তব্য। সুসম্পর্ক ধরে রাখার উপরেই জোর দেওয়া উচিত রাশিয়ার, পরামর্শ এরদোগানের। আগামী সপ্তাহে প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শিখর বৈঠকের ফাঁকেই তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন এরদোগান।
পুতিন অবশ্য তুর্কি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলায় কোনও আগ্রহ দেখাননি। পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরি উশাকভ বলেছেন, রুশ বিমান ধ্বংস করার পর তুরস্ক বিষয়টিকে তাদের অন্যায় বলে মানতেই চাইছে না। এক বারও তারা ক্ষমা চায়নি। তাই আলোচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। রুশ সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার সেরগেই নারিশকিন আরও কড়া মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, যেভাবে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে তুরস্ক, তা রুশ সৈনিকদের খুন করার সামিল। এর প্রতিক্রিয়ায় সামরিকভাবে তুরস্ককে জবাব দেওয়ার সব অধিকার রাশিয়ার রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy