এক মাসের জন্য ফেসবুক নিষিদ্ধ করতে চলেছে পাপুয়া নিউ গিনি।
ফেসবুকে তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হয়েছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ। সাইবার অপরাধে রাশ টানতে তৎপর মোটামুটি সব রাষ্ট্রই। এ হেন পরিস্থিতিতে দেশবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে সাময়িক ভাবে ফেসবুক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল পাপুয়া নিউ গিনি।
সরকারি সূত্রে খবর, পাপুয়া নিউ গিনিতে ক্রমশ বাড়ছে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা। ফেসবুকে পর্নোগ্রাফি পোস্টও হচ্ছে যথেচ্ছ ভাবে। দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্যাম বেসিল জানিয়েছেন, দেশের সাইবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যই আগামী এক মাসের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কিছুতেই দেশে ফেসবুকের অপব্যবহার হতে দিতে পারি না।’’
২০১৬ সালে ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাক্ট’ পাশ হয় পাপুয়া নিউ গিনিতে। তার পর থেকেই ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ে যথেষ্ট তৎপর প্রশাসন। তবে, ফেসবুকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা সামনে আসার পর শুধু পাপুয়া নিউ গিনি নয়, বেশ কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাতেও সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ফেসবুককে। বেসিল জানিয়েছেন, ওই এক মাসে গ্রাহকেরা ফেসবুকে কী ধরনের পোস্ট ও ছবি শেয়ার করেন সেই ব্যাপারে বিশদে তদন্ত করে দেখা হবে। ‘পিএনজি ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নামে একটি সংস্থা ফেসবুকে দেশের থেকে গ্রাহকের সংখ্যা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অ্যাক্টিভিটি পর্যালোচনা করে দেখবে। ওই সময়ের মধ্যে, নাগরিকদের জন্য ফেসবুক ছাড়া নতুন কোনও সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করা যায় তারও পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে ওই সংস্থা।
আরও পড়ুন:
জাকার্তায় মোদীর মৈত্রী বার্তা, কাই পো চে
বিয়ে করতে বাস চালিয়ে হাজির কনে! দেখুন ভিডিও
তবে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে রাশ টানতে পাপুয়া নিউ গিনিতে এক মাসের জন্য পুরোপুরি ফেসবুক নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই বলেই জানিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ এইম সিনপেঙ্গ। তিনি বলেছেন, ‘‘পাপুয়া নিউ গিনিতে এমনিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ১২ শতাংশ। তাই সাইবার নিরাপত্তার জন্য ফেসবুকে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy