সঞ্চালিকা সামার হাতে তুলে নিলেন স্টিয়ারিং। ছবি: এএফপি
বাধা মানছি না, মানব না।
বদলে যাওয়া সৌদি স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
সৌদি আরবের প্রশাসন এই প্রথম নারীদের গাড়ি চালনার অনুমতি দিয়েছে। আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে সেলিব্রেশন।
সিনেমা হলে ঢোকার ছাড়পত্র আগেই মিলেছিল, এবার রাস্তায় গাড়িও চালাতে পারবেন তাঁরা।
মেয়েদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন সৌদির টিভি সঞ্চালিকা সামার আল মোকরেন। ছোট্ট ছেলের কপালে চুমু খেয়ে মাঝরাতেই নিজের এসইউভি-র স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলেন।
নববিবাহিত এক দম্পতি, একদল তরুণী একগুচ্ছ বেলুন নিয়ে পথ আটকালেন সামারের। ছবি তুললেন তাঁর। দেখালেন ‘থাম্বস আপ’ সাইন।
সংবাদ সংস্থাকে সামার বললেন, স্বপ্ন সত্যি হল মনে হচ্ছে। নিজে যে শহরে বড় হয়েছেন, সেই শহরের রাস্তায় যে গাড়ি চালাবেন তা কখনও ভাবেননি সামার। তবে সবার আগে নিজের ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত সন্তানকে নিয়ে তার দিদিমার কাছে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন:রেস্তরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হল হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবকে!
রিয়াধের উত্তরে নার্জিসে এই সঞ্চালিকার বাড়ি। মাঝরাতে নিজের প্রিয় বন্ধুকে নিয়েই সামারকে রওনা দিতে দেখে রবিবার রাতে চক্ষু চড়কগাছ হয় তাঁর প্রতিবেশীরও। মুচকি হেসে মুনগ্লাসটা চোখে পরে নেন সামার। পাড়ি দেন নিজের পক্ষীরাজ থুড়ি, সাদা রঙের গাড়ি চেপে।
সামারের ছবি তোলেন এক দম্পতি। ছবি: এএফপি
‘মহিলারা প্রথম গাড়ি চালাতে অনুমতি পেয়েছেন, সেই উত্তেজনা থেকে যদি দুর্ঘটনা ঘটে’, এজাতীয় আতঙ্ক থেকে বছর কুড়ির আশপাশে বয়স এমন কয়েকজন তরুণও ছিলেন পুলিশকে সাহায্য করার জন্য। হাত নেড়ে সামারকে অভিনন্দন জানান তাঁরা। পাশেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তিনিও বলে ওঠেন ‘‘আই অ্যাম প্রাউড’’।
আরও পড়ুন:সীমান্ত-শিবিরে হঠাৎ হাজির মেলানিয়া ট্রাম্প
বিরুষ্কাকে মানহানির নোটিস সেই আরহানের
পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেখানে এতই শক্তিশালী যে মাসখানেক আগে পর্যন্তও সে দেশে গাড়ি চালানোর অধিকার ছিল না মেয়েদের। আজ সেখানে স্বপ্নের উড়ান। সৌদি আরবের রাজকুমারী হাই হিল জুতো পরে হুড খোলা গাড়ির চালকের আসনে বসে ছবিও তোলেন সম্প্রতি।রাজকুমারী হায়ফা বিন্ত আবদুল্লাহ্ আল-সৌদের এই ছবিটি ‘ভোগ’ পত্রিকার আরব সংস্করণে জুন মাসের প্রচ্ছদে প্রকাশিত হওয়ার পর যদিও বিতর্ক হয়েছিল। হিজাবহীন মহিলাদের দেখা যাচ্ছে ভিডিওয়, স্পোর্টস ব্রা পরে শরীরচর্চা করতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব রকমের কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে নারীকে। এভাবেই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন গড়তে চাইছেন যুবরাজ সলমন। যেখানে কোনও বিধিনিষেধ বা বিভাজন থাকবে না বলে রিয়াধ আশ্বাস দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy