(বাঁ দিকে) সরবজিৎ সিংহ এবং আমির সরফরাজ। — ফাইল চিত্র।
২০১৩ সালে লাহোরের জেলে মৃত্যু হয়েছিল পঞ্জাবের ছেলে সরবজিৎ সিংহের। জেলের মধ্যেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আমির সরফরাজকে এ বার গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল। কে তাঁকে মারল তা এখনও জানা যায়নি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল ডন সরফরাজের। খুন, অপহরণ-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সরফরাজকে লক্ষ্য করে গুলি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
১৯৯০ সালে পাকিস্তানের লাহোর এবং ফয়সালাবাদে পর পর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় সরবজিতের নাম জড়িয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, সরবজিতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও এনেছিল পাকিস্তান সরকার। তবে সরবজিতের পরিবার বার বার দাবি করেছে, তাদের ছেলে কোনও ভাবেই কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়।
জানা যায়, কৃষক পরিবারের ছেলে সরবজিৎ এক দিন রাতে মত্ত অবস্থায় পথ ভুলে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। সে সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন সরবজিৎ। প্রায় ন’মাস তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। এক বছর পর সরবজিতের পরিবারের লোকেরা একটি চিঠি পান। সেই চিঠি থেকেই তাঁরা জানতে পারেন মনজিৎ সিংহ নামে পাকিস্তানের জেলে বন্দি আছেন সরবজিৎ।
পাকিস্তান আদালত সরবজিৎকে একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। বিস্ফোরণ থেকে গুপ্তচরবৃত্তির একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মনজিৎ সিংহ বলে তাঁকে ধরা হয়েছিল। যদিও পরে আসল মনজিৎ ধরা পড়েন। তবে পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পাননি সরবজিৎ। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ভাইকে ছাড়ানোর জন্য অনেক লড়াই করেছেন সরবজিতের দিদি দলবীর কউর।
তবে ভাইকে জেল থেকে বার করতে পারেননি দলবীর। ২০১৩ সালে ২ মে লাহোর জেলে মৃত্যু হয় সরবজিতের। জেলের মধ্যেই তাঁর উপর হামলা চালানো সরফরাজের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy