—প্রতীকী চিত্র।
লিভ-ইন সঙ্গীকে হাতুড়ির বাড়ি মেরে থেঁতলে খুন করলেন যুবক। নিজের সন্তানকেও মারলেন গলা টিপে। সব শেষে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। একটি হোটেলের ঘর থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরের গঞ্জন কলোনি এলাকার। সেখানকার একটি হোটেলে শনিবার বিকেলে ঢুকেছিলেন ওই তিন জন। রাতে তাঁদের দেহ দেখতে পান হোটেলের কর্মীরা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা গিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শচীন বিনোদকুমার রাউত। তাঁর সঙ্গী নাজ়নিন (২৯) এবং সন্তান যুগের (৩) দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহিলার দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাশে পড়ে ছিল একটি হাতুড়িও। তবে শিশুটির দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পুলিশের অনুমান, সঙ্গীকে হাতুড়ি দিয়ে একাধিক বার মেরে খুন করেছেন যুবক। তার পর শিশুটিকে গলা টিপে বা শ্বাসরোধ করে মেরেছেন। তবে তাকে বিষও খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তার রিপোর্ট হাতে পেলে ঘটনা সম্পর্কে আরও বিশদে জানা যাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক পেশায় ট্রাকচালক। তিনি বিবাহিত এবং সেই সম্পর্কে দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। এর পরেও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল নাজ়নিনের সঙ্গে। সেই সম্পর্কে তাঁর একটি সন্তান হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই নাকি এই সম্পর্ক থেকে যুবক বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। তা নিয়ে লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা চলছিল।
শনিবার বিকেলে তিন বছরের শিশুটিকে নিয়ে হোটেলে গিয়েছিলেন নাজ়নিন এবং শচীন। রাতে তাঁদের ডেকে সাড়া না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ দরজা ভাঙেন। দেখা যায়, মেঝেতে দু’টি দেহ পড়ে আছে। একটি দেহ ঝুলছে পাখা থেকে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দেহগুলি উদ্ধারের পাশাপাশি ওই ঘর থেকে একটি কোর্টের নথিও উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে সঙ্গীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের কথা লেখা রয়েছে। পুলিশের অনুমান, সে দিনই আইনি বিচ্ছেদের কাগজে সই করেছিলেন যুগল। তার পর কোনও কারণে অশান্তি হয় তাঁদের মধ্যে। যার পরিণতিতে এই কাণ্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy