প্রতীকী ছবি।
কোটার হস্টেল বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হলেন আট জন পড়ুয়া। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
কোটা শহরের পুলিশ সুপার অমৃতা দুহান জানিয়েছেন, কুনহারি থানা এলাকার এক আবাসনে আগুন লাগে। পাঁচ তলা আবাসনে থাকেন কোটায় পড়তে আসা পড়ুয়ারা। রবিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওই আবাসনের এক তলায় আগুন লাগে। সেখানে থাকা বৈদ্যুতিন ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। ফরেন্সিক দল ঘটনার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছে।
ওই হস্টেলে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলেই জানিয়েছেন কোটা পুরসভার অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের এক কর্তা। পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে হস্টেলের বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপ মারেন। তাতে এক ছাত্রের পা ভেঙে গিয়েছে বলেই খবর।
পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় বার বারই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে রাজস্থানের কোটা। উল্লেখ্য, রাজস্থানের কোটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত। আইআইটিতে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসক হওয়ার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষারও কোচিং হাব বলা হয় কোটাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা কোটায় গিয়ে সেখানে থেকে পড়াশোনা করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সেই চাপ সহ্য করতে পারেন না। কেউ কেউ কোটায় পড়াশোনার ‘অমানুষিক’ চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী হন। চলতি বছরে কোটায় এই নিয়ে এটি সপ্তম আত্মহত্যার ঘটনা। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেও ২৯ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন কোটায়। ২০২২ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ১৫। রাজস্থান সরকারের তরফে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। এ বার সেই কোটার হস্টেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy