ইস্তানবুলে আলোচনায় বিশ্বনেতারা। ছবি: টুইটার।
নয়া বাঁক নিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। মঙ্গলবারই মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার আগে সন্ধ্যায় ইস্তানবুলে বৈঠকে ইউক্রেন জানাল তারা আর নেটোর সদস্যপদ নয়, নিরপত্তা চায়।
যে নেটোর কারণে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে রাশিয়া, যুদ্ধের ৩৪তম দিনে সেই নেটোর দাবি থেকে সরে গেল ইউক্রেন। শান্তি বৈঠকে ইউক্রেন জানাল, সুরক্ষার নিশ্চয়তা চাই তাদের। পশ্চিমের দেশগুলির কাছে নেটোর মতো কিংবা নেটোর চেয়ে ভাল সুরক্ষার নিশ্চয়তা চেয়েছে তারা। ইউক্রেনের তরফে অংশ নেওয়া এক কূটনীতিক ডেভিড আরখেমিয়া বলেন, ‘‘আমরা নিরাপত্তার গ্যারান্টির একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া চাইছি। যেখানে গ্যারান্টার দেশগুলি নেটোর ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অনুরূপে কাজ করবে।’’
প্রসঙ্গত, নেটোর সনদের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নেটো অন্তর্ভুক্ত দেশের কোনও একটি দেশ হামলার মুখোমুখি হলে, অন্যেরা তার সাহায্যে এগিয়ে আসে। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন জানিয়েছে, তেমনই নিশ্চয়তা চাই তাদের। আর ‘গ্যারান্টার’ হিসাবে তারা পাশে চেয়েছে আমেরিকা, চিন এবং ব্রিটেনকে। তা ছাড়া কানাডা, জার্মানি, ইজরায়েল, ইটালি, পোল্যান্ড ও তুরস্কের সহায়তা আশা করেছে তারা। উল্লেখ্য, চিন ও ইজরায়েল ছাড়া ইউক্রেন উদ্ধৃত বাকি দেশগুলি নেটো সদস্য।
ইউক্রেনের তরফে ওই কূটনীতিক বলেন, ‘‘বাকি দেশগুলি আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে আমরা নিরপেক্ষ মর্যাদা গ্রহণ করব। ইউক্রেন আর কোনও ‘সামরিক-রাজনৈতিক জোট’-এ যোগ দেবে না।’’
অন্য দিকে রাশিয়া তার শর্তে জানিয়েছে, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোয় ইউক্রেন যোগ দিতে পারবে না। তা ছাড়া, ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বশাসনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy