এ বার আমেরিকা-সহ নেটো জোটের দেশগুলির কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চায় ইউক্রেন। ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অবশেষে ইউক্রেনকে অতি শক্তিশালী লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক দিতে রাজি হয়েছে জার্মানি। বুধবার বার্লিন ঘোষণাও করেছে সে কথা। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি রুশ বিমানবহরের মোকাবিলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলির কাছে দরবার করেছেন। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, লেপার্ডের মতোই এ ক্ষেত্রেও প্রাথমিক সায় দেননি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ।
বুধবার জার্মানি লেপার্ড ২ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কের মোকাবিলা করা সহজ হবে ইউক্রেনের পক্ষে। লেপার্ডের ১২০ মিলিমিটারের দূরপাল্লার এল-৩০ কামান বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রুশ ফৌজের উপর। পাশাপাশি, এই ট্যাঙ্কের এল৩৭এ২ বিমান বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় কামান (অটোক্যানন) রুশ ড্রোন হামলারও মোকাবিলা করতে পারে। ইউরোপ জুড়ে নেটো বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক লেপার্ড রয়েছে। শুধু জার্মানি নয়, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড-সহ কয়েকটি দেশও তাদের ব্যবহৃত লেপার্ড ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দিতে সম্মত হয়েছে।
পেন্টাগনের তরফে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জন্য ২৫০ কোটি ডলারের (প্রায় ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা) সামরিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে ৯০টি স্ট্রাইকার সাঁজোয়া গাড়ি। যার পোশাকি নাম ‘আর্মড পার্সোনেল ভেহিকল্’। মূলত রুশ গোলা ও বোমাবর্ষণ এড়িয়ে নিরাপদে যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের পাঠাতে কাজে লাগে এই সামরিক যান। পাশাপাশি, শত্রুর উপর প্রতি আক্রমণেও এই সাঁজোয়া যান দক্ষ। এই প্রথম ইউক্রেন সেনাকে স্ট্রাইকার দিল ওয়াশিংটন। জো বাইডেন সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্থলপথে রুশ ফৌজ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি এফ-১৬ পেলে আকাশপথেও রুশ বিমানবাহিনীর মোকাবিলা করা সহজসাধ্য হবে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের পরামর্শদাতা ইউরি সক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমরা চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ পেলে যুদ্ধের মোড় পুরোপুরি ঘুরে যাবে। দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে তা আমাদের পেতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy