রবার্ট মুলার
দু’বছরের নীরবতা ভেঙে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন বিশেষ আইনজীবী রবার্ট মুলার। তার সঙ্গে বিশেষ আইনজীবীর পদ থেকে ইস্তফার কথাও ঘোষণা করলেন।
এর আগে তাঁর জমা দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে এক প্রস্ত বিতর্ক হয়েছে। আজ মার্কিন বিচারবিভাগে এসে মাত্র আট মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুলার বললেন, মার্কিন ভোটে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিল। সেটা প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের পক্ষে উদ্বেগের কারণ। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার নানাবিধ ধারাবাহিক চেষ্টা হয়েছে। সেই অভিযোগে প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের নজর দেওয়া উচিত।’’
কংগ্রেসের বহু সদস্যের দাবি ছিল, মুলার তাঁদের সামনে এসে সাক্ষ্য দিন। মুলার আজ সাফ বলেছেন, তাঁর রিপোর্টটিই তাঁর সাক্ষ্য। রিপোর্টের বাইরে কোনও তথ্যই তিনি দেবেন না। তাঁর রিপোর্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেন অভিযুক্ত করা যায়নি, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুলার। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমত প্রেসিডেন্ট অপরাধ করেছেন কি না, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তা ছাড়া বিচারবিভাগের নীতি অনুযায়ী, পদে থাকাকালীন কোনও প্রেসিডেন্টকে কেন্দ্রীয় অপরাধমূলক আইনে (ফেডারেল ক্রাইম) অভিযুক্ত করা যায় না, এটা অসাংবিধানিক। তাই প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করার কোনও উপায় আমাদের হাতে ছিলও না।’’
মুলারের প্রকাশ্যে বিবৃতির পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট, ‘‘মুলার রিপোর্টের চেয়ে এটা কিছুই আলাদা নয়। যথেষ্ট প্রমাণও ছিল না। আমাদের দেশে তেমন নাগরিক নিরপরাধ বলেই গণ্য হন। মামলা শেষ। ধন্যবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy