বার্বির প্রিয় রঙের কফিন দেদার বিকোচ্ছে। ছবি: টুইটার।
বার্বি পুতুলকে ভালবেসে নিজের কোন কোন জিনিস বদলেছেন? সাজগোজ, নিজের ঘরের অন্দর সজ্জা, জাম-কাপড়-প্রসাধনী, আর কী কী? বার্বি পাগল সেই সব ভক্তদের জন্য এ বার আরও আকর্ষণীয় প্রস্তাব নিয়ে এসেছে কয়েকটি সংস্থা। এই বার্বিপ্রেমীরা তাঁদের শেষ শয্যাটিও পাততে পারবেন বার্বির ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে। চিরঘুমের দেশে ‘বার্বি হওয়ার’ সুযোগ পাবেন তাঁরা।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে হলিউডের সিনেমা বার্বি। তার পরেই বার্বি পুতুলকে নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। আধুনিক রূপকথার মতো নিটোল বার্বির গোলাপি রঙের দুনিয়ায় সব কিছুই নিখুঁত। সেই দুনিয়ার স্বপ্ন নতুন করে চাগাড় দিয়েছে বার্বি প্রেমে। রেস্তরাঁর খাবার থেকে শুরু করে প্রসাধনীর পসার সর্বত্রই শুরু হয়েছে বার্বি ‘ট্রেন্ড’। সেই ধারায় গা ভাসিয়ে এ বার বার্বি ভাবনায় অনুপ্রাণিত কফিনও বিক্রি করতে শুরু করেছে এক সংস্থা। তার দেখা দেখি আরও বেশকিছু শেষকৃত্যের আয়োজনকারী সংস্থা ক্রেতাদের এই প্রস্তাব দিয়েছে।
টকটকে গোলাপি সেই কফিনে বার্বির দুনিয়ার স্পষ্ট ছাপ। সোনালি রঙের কল কব্জা। চার পাশে ঝিকমিকনো চাঁদ-তারা। ডালা খুললে ভিতরেও মিষ্টি গোলাপি পালকের বিছানা। বার্বির ভক্তরা যাঁরা তাঁদের বার্বি প্রেমকে সঙ্গে করে শেষ শয্যায় নিয়ে যেতে চান, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা।
গত এক বছর ধরেই মেক্সিকো এবং লাতিন আমেরিকা জুড়ে এই কফিন বিক্রি শুরু হয়েছিল। তবে গত কয়েক মাসে এই কফিনের বিক্রি মাত্রা ছাড়া বেড়েছে। যে কফিন কিছুদিন আগেও দোকানের এক কোনায় পড়ে থাকত, তারই অর্ডার এখন পড়তে পাচ্ছে না। সৌজন্যে বার্বির নতুন ছবি। তবে মানুষের এ হেন বার্বি প্রেম দেখে বিরক্ত এবং বিস্মিত নেটাগরিকদের একাংশ। তাঁরা এই বার্বি প্রেমীদের কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘এঁরা কি পাগল’’? আবার কেউ লিখেছেন, ‘‘আমার মৃত্যুর পর দয়া করে আমার শরীরটাকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিও। আমি কিছু মনে করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy