ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। — ফাইল চিত্র।
দফায় দফায় সংঘর্ষ আর হিংসার মধ্যেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন এই ঘোষণা করেন। সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুর থেকেই পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, শুক্রবার বিকেল ৩টেয় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। শাসকদল আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডেকেছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে। ঢাকা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বড় ধরনের হিংসা ও প্রাণহানির আশঙ্কাতেই জমায়েতে রাশ টানার চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও হিংসা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছে। সরকারের তরফে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া হলেও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা তা খারিজ করে দিয়েছে। আর তার পরেই এই পদক্ষেপ।
‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, গত তিন দিনে কোটা সংস্কারপন্থী পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ঘিরে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ২৭। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সংরক্ষণ বিরোধীদের ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ (কমপ্লিট শাটডাউন) কর্মসূচির মধ্যে হিংসায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২১ জনের। তাঁদের অর্ধেকই ঢাকায় হিংসার বলি। সোমবারও ঢাকার মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, রামপুরা, যাত্রাবাড়িতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের উপর শাসকদলের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র লীগ’ হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, বিরোধী বিএনপি এবং জামাতের কর্মীরা হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ হাসিনার সরকারের।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল বাংলাদেশে ‘সংরক্ষণ বিরোধী’ আন্দোলন হচ্ছে। আদতে বাংলাদেশে এই আন্দোলন হচ্ছে কোটা সংস্কারের দাবিতে। আমরা সেই ভ্রম সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত ওই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy