মুখহীন বাচ্চার প্রতীকী চিত্র। ছবি- শাটারস্টক।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে সেতুবাল শহর। সেখানকার একটি হাসপাতালে গত ৭ অক্টোবর বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা। কিন্তু সেই বাচ্চা জন্মেছে মুখহীন অবস্থায়। সদ্যোজাতের নেই চোখ, নাক। তার মাথার খুলির অধিকাংশ অংশই ক্রটিপূর্ণ। এই ঘটনা সামনে আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে সে দেশের মানুষ। এর পরই ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে পর্তুগালের মেডিক্যাল কাউন্সিল।
এই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসেছিল পর্তুগালের মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত চিকিৎসক আর্তুর কার্ভালহোকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালের সাদার্ন রিজিওনের মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান আলেক্সজান্ডার ভ্যালেনটিং লরেঙ্কো বলেছেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের অবহেলার জোরালো প্রমাণ রয়েছে। তাঁর অবহেলা চিকিৎসকদের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। গর্ভবতী মহিলাদের ভরসা অর্জনে ফের নামতে হবে আমাদের।’’ জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এর আগেও ছ’টি অভিযোগ জমা হয়েছিল।
মুখহীন বাচ্চার জন্ম দেওয়া মহিলার বোন জাওনা সিমাও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গর্ভবস্থার সময় তিনটি বাধ্যতামূলক আলট্রাসাউন্ডও করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে অসঙ্গতির ব্যাপারটি জানানো হয়েছিল ওই চিকিৎসককেও। সিমাও বলেছেন, ‘‘রিপোর্টে অসঙ্গতি দেখেও চিকিৎসক আমাদের আশ্বস্ত করেন অনেক সময় বাচ্চার মুখ আলট্রাসাউন্ডে ধরা পড়ে না।’’ জন্মের পর থেকে ওই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগেই রাখা হয়েছে মুখহীন নবজাতককে। তার চিকিৎসা এখনও চলছে।
আরও পড়ুন: গাছের গুঁড়ির মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন! দেখুন ভয়ঙ্কর সেই ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: নাগরদোলার মতো ঘুরবে মহাকাশের প্রথম হোটেল! দেখুন সেই হোটেলের অন্দরমহল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy