Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Special Child

সদ্যোজাত ‘স্পেশাল চাইল্ড’-এর ছবি পোস্ট করে আক্রমণের মুখে বাবা-মা

নাফি এবং রাচেলির সদ্যোজাত অসুস্থ সন্তানকে কেউ কেউ ‘শয়তান’ বা ‘মনস্টার’ বলেও অভিহিত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ এমনও দাবি করেছেন যে শিশুটিকে অবিলম্বে মেরে ফেলা উচিত!

সন্তানের সঙ্গে সেই বাবা-মা।

সন্তানের সঙ্গে সেই বাবা-মা।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:১২
Share: Save:

সন্তান হওয়ার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্যোজাত সন্তানের ছবি পোস্ট করেছিলেন ব্রিটিশ দম্পতি নাফি এবং রাচেলি গোলম্যান। কিন্তু ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা ওই দম্পতিকে সে জন্য প্রচুর পরিমাণে ট্রোলড হতে হল।

‘স্পেশাল চাইল্ড’ হলেও বাবা-মা হওয়ার আনন্দ ভাগ করে নিতে তাঁরা নিজেদের সদ্যোজাত সন্তানের ছবি পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। কিন্তু তারপরই যে ধরনের কমেন্ট ওই ওই ছবির প্রেক্ষিতে আসতে থাকে, তা হতবাক করে দিয়েছে এই দম্পতিকে।

নাফি এবং রাচেলির সদ্যোজাত সন্তানকে কেউ কেউ ‘শয়তান’ বা ‘মনস্টার’ বলেও অভিহিত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ এমনও দাবি করেছেন যে শিশুটিকে অবিলম্বে মেরে ফেলা উচিত! এই ব্রিটিশ দম্পতির সদ্যোজাত কন্যা জটিল ‘কনজেনিটাল ডিসঅর্ডার’-এ আক্রান্ত। শিশুটি চোখে দেখতে বা কানে শুনতেও অক্ষম। নিজের থেকে নিঃশ্বাস নিতে পারে না সে। মাথার খুলি বিকৃত এবং মেরুদণ্ড বাঁকা।

আরও পড়ুন: বিমানসেবিকা মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে কী করলেন বাবা?

শিশুটির বাবা নাফি জানিয়েছেন যে, সকলের মতো তিনিও প্রথমে তাঁদের সন্তানের এইরকম রূপ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই দম্পতি কোনও রকম অনুশোচনা তাঁদের মনে পুষে রাখতে চান না। তারা জানিয়েছেন যে তাঁদের সন্তান যে এই ভাবেই জন্ম নিতে পারে, তা আগেই তাঁদেরকে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। এমনকি রাচেলকে গর্ভপাত করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন কেউ কেউ।

কিন্তু সেই পরামর্শ কানে নেননি এই ব্রিটিশ দম্পতি। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের সন্তান ঈশ্বরের দান; তাই কোনও ভাবেই তার কোনও ক্ষতি তাঁরা করতে পারবেন না। এই শিশুটির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাবা-মায়ের বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি তা।

অন্য বিষয়গুলি:

Special Child Congenital Disorder Manchester UK
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE