টানা ১২ ঘণ্টার তল্লাশির পর এক জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তিনি সুস্থই রয়েছেন মোটামুটি।
অন্য জন জ্বলন্ত বিমান ছেড়ে প্যারাশুটে চড়ে নামতে গিয়ে শত্রু পক্ষের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁর দেহের হদিশ মেলেনি এখনও।
মঙ্গলবার তুরস্ক সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে যে রুশ যুদ্ধবিমানটিকে গুলি করে মাটিতে নামিযেছিল তুর্কি সেনারা, ওই দু’জন ছিলেন সেই বিমানের দুই পাইলট।
সুস্থ শরীরে যাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই পাইলটকে আজ সাংবাদিকদের সামনে হাজির করানো হয় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল সের্গেই রুদস্কোই জানিয়েছেন, ‘‘তুর্কি যুদ্ধবিমান থেকে ছুটে আসা ঝাঁক ঝাঁক গুলির মধ্যেই জ্বলন্ত রুশ বিমানটি ছেড়ে প্যারাশুটে নামতে শুরু করেছিলেন দুই পাইলট। তখনই এক জন পাইলটের শরীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায়। তাঁর দেহ মেলেনি এখনও।’’
রুদস্কোই আরও জানিয়েছেন, ‘‘দুই পাইলটের খোঁজে ১২ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান চালানোর সময়েও গুলিবর্ষণের মুখে পড়তে হয়েছিল দু’টি রুশ ‘এমআই-এইট’ হেলিকপ্টারকে। সম্ভবত তুর্কি সেনারাই ওই গুলিবর্ষণ করেছিল। সেই ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসা গুলির হাত থেকে বাঁচতে উদ্ধারকারী দুই রুশ ‘এমআই-এইট’ হেলিকপ্টারকে জরুরি অবতরণ করতে হয় উত্তর সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশের অদূরে একটি ঘন জঙ্গলে। ওই এলাকাটি তুরস্ক ও সিরিয়ার মাঝে কার্যত একটি ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’। সেই গুলিতে রুশ উদ্ধারকারী দলেরও এক সেনার মৃত্যু হয়। উদ্ধারকারী দলের অন্য সদস্যদের তখন তড়িঘড়ি উত্তর সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে হুমেইমিনে রুশ এয়ার বেসে ফিরিয়ে আনা হয়।’’
সিরিয়ার বিদ্রোহী জঙ্গিদের দাবি, একটি রুশ উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারকে তারা ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মাটিতে নামিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy