বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকায় অতীতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ফেসবুককে। প্রতীকী চিত্র
গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের পথে হেঁটেছিল মায়ানমারের সামরিক সরকার। এ বার হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে সেই সামরিক সরকারেরই প্রধান পেজটি বন্ধ করে দিল ফেসবুক।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘হিংসায় ইন্ধন ও ক্ষতিসাধন রুখতে আমাদের যে বিধি আছে, তা বারবার লঙ্ঘন করার জন্য ‘তামো ট্রু নিউজ় ইনফরমেশন টিম’ নামে পেজটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ মায়ানমারের সেনার তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকায় অতীতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ফেসবুককে। তবে ২০১৮ সালে মায়ানমারের সেনাপ্রধান তথা বর্তমান সেনাশাসক মিং আউং লেইং এবং আরও ১৯ জন সেনা অফিসারের পেজ বন্ধ করেছিল তারা। বন্ধ করা হয়েছিল সেনার সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকশো পেজও। সেই সমস্ত পেজের বেশির ভাগই জুড়ে থাকত রোহিঙ্গা-বিদ্বেষী কথাবার্তা।
সেনা অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে গত কাল এ দেশের পরিস্থিতি সব চেয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালায় পুলিশ। মৃত্যু হয় দু’জনের। অন্তত তিরিশ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যেও অনেকের গুলির আঘাত
রয়েছে বলে খবর।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘মায়ানমারের ভয়াবহ হিংসার নিন্দা করছি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরে প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগ, তাঁদের ভয় দেখানো ও হেনস্থা করার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না।
শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার সকলের আছে। সমস্ত পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ভোটের ফলকে সম্মান করুন। ফিরে আসুক অসামরিক শাসন।’’মান্দালয়ের রাস্তায় আজও বিক্ষোভ হয়েছে। গত সপ্তাহে মাথায় গুলি লেগেছিল এক প্রতিবাদিনীর। গত শুক্রবার তিনি মারা যান। তাঁর শেষকৃত্য ঘিরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নয়া উদ্যমে প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy