Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

নেপালে মৃত্যু বেড়ে ১১, উদ্বিগ্ন মোদী

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে আজ তিনি ফোনও করেন।

নিহত পুলিশকর্মীর শোকাহত পরিজনেরা। ছবি: এএফপি।

নিহত পুলিশকর্মীর শোকাহত পরিজনেরা। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫৬
Share: Save:

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে আজ তিনি ফোনও করেন।

পৃথক রাজ্যের দাবিতে গত রবিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নেপালে। বিক্ষোভকারীদের হামলায় সোমবার প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ জন। এঁদের মধ্যে সাত জনই পুলিশকর্মী। মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ অফিসারের দু’বছরের ছেলেরও। এই ঘটনায় জখমও হন অনেকে। বিক্ষোভ যাতে আর ছড়াতে না পারে, তার জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকেই পশ্চিম নেপালের নানা জায়গায় ছিল পুলিশি টহল। বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীরাও।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডু থেকে ৪০০ কিলোমিটার পশ্চিমে টিকাপুর এলাকায়, যেখানে সোমবার সংঘর্ষ হয়, সেখানে আজ কার্ফু জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে কড়া পুলিশি পাহারা রয়েছে। রয়েছে সেনাদের নজরদারিও। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, আজ আর নতুন করে কোনও এলাকা থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। কার্ফু লঙ্ঘন করারও কোনও খবর নেই।

সাতটি রাজ্য গঠন করে নেপালের পুনর্বিন্যাসের জন্য সংবিধানের একটি নতুন খসড়াকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। আপত্তি জানাতে থাকে নেপালের ‘থারু’ গোষ্ঠী। নিজেদের জন্য আলাদা রাজ্য চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। তারা জানিয়ে দেয়, পৃথক রাজ্য হলে এখন থেকে সব ব্যাপারে তারা তাদের মত দিতে পারবে। এই দাবিকে কেন্দ্র করেই সোমবার টিকাপুর এলাকায় বিক্ষোভ হয়। ইট, বর্শা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় প্রায় কুড়ি হাজার বিক্ষোভকারী।

সরকারি ভাবে যদিও নিহতের সংখ্যা ১১ বলে জানানো হয়েছে, বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী, হামলায় কুড়ি জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১৭ জন পুলিশকর্মী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE