Advertisement
E-Paper

ভূমিকম্পে ভাঙছে দুই বহুতলের মাঝের সেতু, স্ত্রী-কন্যাকে বাঁচাতে ৬০০ ফুট উচুতে ফাঁক ডিঙোলেন যুবক

একটি সংবাদমাধ্যম কিয়নকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, কম্পনের সময়ে জোড়া বহুতলের একটির ৫২ তলায় নিজের দফতরে বসে কাজ করছিলেন যুবক। তখন তাঁর মনে আসে, অন্য বহুতলে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার। প্রভাব পড়েছে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার। প্রভাব পড়েছে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪৬
Share
Save

শুধু নিজে নন, স্ত্রী-কন্যাও যাতে সুরক্ষিত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তাইল্যান্ডের কিয়ন ইয়ং জুন। সে জন্য মায়নামারের ভূমিকম্পের মাঝে তিনি নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যে পদক্ষেপ করেছেন, তা দেখে বিস্মিত সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। ঘটনাটি তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককের। কিয়ন জানিয়েছেন, সে সময় স্ত্রী এবং কন্যার প্রাণ বাঁচানো ছাড়া অন্য কিছু মাথায় আসেনি তাঁর। সে কারণে দুই বহুতলের সংযোগকারী সেতু ভেঙে গেলেও তা পার হওয়ার জন্য দ্বিতীয় বার ভাবেননি কিয়ন। সেতুটি ছিল ৬০০ ফুট উচুতে।

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্ককে সমান্তরাল ভাবে উপর দিকে উঠে গিয়েছে দু’টি বহুতল। তাদের মাঝে প্রায় ৬০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে একটি সংযোগকারী সেতু। ভূমিকম্পের কারণে টলমল করছে দু’টি বহুতল। তার জেরে মাঝ বরাবর ভেঙে যাচ্ছে সেই সেতু। নীচে দাঁড়িয়ে ভিডিয়োটি তুলেছিলেন কেউ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক ফাঁক টপকে সেতুর এক দিক থেকে অন্য দিকে যাচ্ছেন।

গত শুক্রবার দুপুরে মায়ানমারে ভূমিকম্প হয়। একটি সংবাদমাধ্যম কিয়নকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, কম্পনের সময়ে জোড়া বহুতলের একটির ৫২ তলায় নিজের দফতরে বসে কাজ করছিলেন যুবক। তখন তাঁর মনে আসে, অন্য বহুতলে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা। কিছু না ভেবে ওই ভাঙা সেতু টপকে উল্টোদিকে বহুতলে চলে যান কিয়ন। তাঁর কথায়, ‘‘সে সময় একটাই কথা মনে হয়েছিল, স্ত্রী-কন্যাকে বাঁচাতেই হবে। দু’টি বহুতল পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। আমি ওই ফাঁক দেখেও টপকে ওপারে চলে যাই।’’ কিয়ন যত ক্ষণে উল্টোদিকের বহুতলে পৌঁছন, তত ক্ষণে সেখানকার উপরতলাগুলি থেকে সকলকে ৪০ তলায় নামিয়ে আনা হয়েছে। কিয়নের স্ত্রী সুকন্যা ইউতুয়াম এবং শিশুকন্যাকেও নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখন কিয়ন ৪০ তলায় ছোটেন তাঁদের কাছে। তাঁর শরীরে সামান্য আঘাত লেগেছে। গুরুতর জখম হননি তিনি। পরে স্বামীর ফাটল পারাপারের ভিডিয়ো দেখে বিস্মিত স্ত্রী সুকন্যাও। তিনি জানিয়েছেন, বরাবরই তাঁর এবং কন্যার কথা নিজের আগে ভেবেছেন কিয়ন। ভূমিকম্পের সময়ও তাই করেছেন।

গত শুক্রবার মায়ানমারের ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,০০০ জনের বেশি। তাইল্যান্ডে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত ২২ জন।

Myanmar Earthquake Death

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}