ইজ়রায়েলের হানায় নিহত হিজ়বোল্লা নেতা। — ফাইল চিত্র।
হিজ়বোল্লা গোষ্ঠীর শীর্ষনেতাকে খতম করল ইজ়রায়েল। দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। তাতেই নিহত হন উইসাম হাসান তাওয়িলের। ইজ়রায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের আশঙ্কা, গাজ়ার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে পশ্চিম এশিয়ায়। সে কারণেই লেবাননে হামলা চালিয়ে তাওয়িলকে খুন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে হামাসের এক শীর্ষ নেতা খুন হন। তার পর থেকেই হামলা, পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল সরকার এবং হিজ়বোল্লা। উত্তর ইজ়রায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজ়বোল্লা। বিমানঘাঁটিতে পড়েছিল সেই ক্ষেপণাস্ত্র। তিন মাসে এত বড় হামলা হয়নি ইজ়রায়েলে। হিজ়বোল্লার তরফে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, হামাস নেতা সালেহ আরোরির খুনের বদলে নিতেই হামলা চালিয়েছে তারা। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই হিজ়বোল্লা জানিয়েছিল, তারা এই যুদ্ধে হামাসের পাশে আছে। প্রয়োজনে তারাও অস্ত্র হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে প্রস্তুত। এ বার মনে করা হচ্ছে হিজ়বোল্লার হামলার পাল্টা দিল ইজ়রায়েল।
হিজ়বোল্লার তরফে জানানো হয়েছে, লেবানন সীমান্তে তাদের যে অংশ সক্রিয়, তার শীর্ষনেতা ছিলেন তাওয়িল। একটি এসইউভিতে ছিলেন তিনি। সে সময় গাড়ির উপর এসে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। প্রাণ হারান তাওয়িল। ৭ অক্টোবর গাজ়া সংলগ্ন ইজ়রায়েলে হামলা চালায় হামাস। তার পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর এত উঁচু পদের কোনও নেতা নিহত হননি।
এ দিকে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, গাজ়ায় তাদের অভিযান অনেকটাই গুটিয়ে এনেছে। আপাতত মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণের খান ইউনিস শহরে অভিযান চালাচ্ছে তারা। তবে ইজ়রায়েল প্রশাসন সূত্রে খবর, গাজ়ায় অভিযান এখনই থামানো হচ্ছে না। হামাসকে নির্মূল করার জন্য তারা অভিযান চালিয়েই যাবে। ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলা চালানোর পর গাজ়ায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইজ়রায়েল। তার জেরে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ২৩ হাজার প্যালেস্টাইনি। ঘরছাড়া ২৩ লক্ষ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy