—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইরান। এই আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে। অন্য দিকে, শুক্রবার সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং গোয়েন্দাকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন পাকিস্তানের তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে পাক সেনাও।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠন জইশ আল অদলের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। তেহরান জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ অল অদল বা ‘আর্মি অফ জাস্টিস’-এর ঘাঁটি। ইরানের দাবি, এই জঙ্গি সংগঠন তাদের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানের হামলার পর পরই গর্জে ওঠে ইসলামাবাদ। তারা বৃহস্পতিবার ইরানে পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানের হামলায় ইরানে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। ইরানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাক হামলায় নিহতদের ‘নিজের লোক’ বলে দাবি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেলেছে।
পাক হামলাকে ভাল চোখে দেখেনি ইরানও। তাদের বিদেশ মন্ত্রক বৃহস্পতিবারই তেহরানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ‘প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ’ কূটনীতিককে তলব করেছে এবং তাঁর কাছ থেকে পাক হামলার কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। এই আবহে ইরান-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘‘শান্তি বজায় রাখতে হবে। বুঝতেই পারছেন, ওই এলাকায় ইরানকে কেউ খুব একটা পছন্দ করে না। এই সংঘর্ষই তার প্রমাণ। আমরা দেখছি কী করা যায়। তবে কী হতে চলেছে, বলা যাচ্ছে না।’’ আমেরিকার এই অবস্থান প্রকাশ্যে আসার পর কূটনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কি ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy