আমেরিকার রণতরী আটক করল ইরান। পারস্য উপসাগরে ইরানের জলসীমায় ঢুকে মার্কিন রণতরী গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছিল বলে তেহরানের দাবি। ঐ রণতরীতে থাকা মার্কিন নৌসেনার ১০ সদস্যকেও আটকে রেখেছে ইরান। তবে আমেরিকার দাবি, কুয়েত থেকে বাহরিন যাওয়ার পথে খারাপ হয়ে গিয়েছিল রণতরীটি। গুপ্তচরবৃত্তি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।
মার্কিন রণতরীটি মঙ্গলবার ফারসি আইল্যান্ডের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বলে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এই ফারসি আইল্যান্ড হল ইরানের বৃহত্তম নৌঘাঁটিগুলির অন্যতম। মার্কিন রণতরীকে অত্যন্ত দ্রুত বেগে সেই নৌঁঘাটির দিয়ে এগিয়ে যেতে দেখেই ইরানের নৌবাহিনী ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস নেভি’ সতর্ক হয়ে যায়। সব দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় মার্কিন নৌসেনার রণতরীটিকে। ১০ আরোহী সহ রণতরীটিকে আটক করা হয়। ইরানের দাবি, তাদের জলসীমার প্রায় ২ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল মার্কিন রণতরীটি। ইরানের রণসজ্জা খবর গোপনে সংগ্রহ করতে ওই এলাকায় মার্কিন রণতরী প্রায়ই হানা দেয় বলেও তেহরান দাবি করেছে।
আমেরিকা অবশ্য জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরে মার্কিন নৌসেনার রণতরী যেমন রুটিন টহলদারি চালায়, এ দিনও তাই চলছিল। রণতরীটি কুয়েত থেকে বাহরিন যাচ্ছিল। পথে যান্ত্রিক গোলোযোগে সেটি খারাপ হয়ে যায়। ইরানের জলসীমায় ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়নি। ইরান মার্কিন নৌসেনার ১০ সদস্যকে অবিলম্বে ছেড়ে দেবে বলেও পেন্টাগন জানিয়েছে। তবে তেহরানের তরফে এখনও তেমন কোনও আশ্বাস প্রকাশ্যে দেওয়া হয়নি। ইরানের নৌসেনা জানিয়েছে, মার্কিন রণতরী থেকে জিপিএস যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। ওই জিপিএস-এর কার্যকলাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, ইরানের জলসীমায় ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তিই চালাচ্ছিল মার্কিন রণতরী।
আমেরিকার তরফ থেকে উত্তেজনা কমিয়ে নিজেদের লোকজনকে ইরানের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ইরানের অবস্থান যথেষ্ট কঠোর। খুব তাড়াতাড়ি মার্কিন নৌসেনার সদস্যদের তেহরান মুক্তি না দিলে পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা আচমকা বাড়তে পারে। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy