ভারত-চিন সীমান্ত।
নিরাপত্তার খাতিরে সীমান্তে ভারত বেজিং-কে তাক করে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর চটেছে চিন। ফলে, ভারতকে চাপে রাখার ‘খেলা’ শুরু করে দিতেও দেরি করল না বেজিং।
চিনা সরকারি সংবাদ মাধ্যমে একটু ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল, ভারত যদি এ ভাবে সীমান্তে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়িয়ে চলে, তা হলে কিন্তু ভারতে চিনা বিনিয়োগ আসবে না। এর পরেই বন্দুকটা ভারতের কাঁধে রেখে বলা হয়েছে, ভারত যদি ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাবে অটল থাকে, তা হলে সে দেশে বিনিয়োগ করতে কী ভাবেই-বা ভরসা পাবেন চিনা বিনিয়োগকারীরা।
চিনা সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘কোনও সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় চিন সীমান্তে ভারতের ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানোর যে খবরটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা চিনা সমাজের সর্ব স্তরেরই নজর কেড়েছে। সকলেই বিস্মিত হয়েছেন কারণ, আরও বেশি করে চিনা সংস্থাগুলো ভারতে তাদের পুঁজি বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।’’
দিনদু’য়েক আগেই একটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দেয়, নিরাপত্তার খাতিরে চিন সীমান্তে অন্তত ১০০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ভারত। অবিলম্বে ভারতীয় ট্যাঙ্কের সংখ্যা আরও বাড়ানে হবে চিন সীমান্তে।
তারই প্রেক্ষিতে, দিল্লির উদ্দেশে ‘খোঁচা’টাকে আরও তীক্ষ্ণ করে ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘একই সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে আর ভারতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বার বার চিনা লগ্নিকারীদের ডাকা হচ্ছে! এই দু’টি আপাত-বিপ্রতীপ কাজ কী ভাবে একই সঙ্গে করা যায়, তা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না। ভারতে যখন বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন চিনা লগ্নিকারীরা, তখনই সীমান্তে ভারতের অস্ত্র-বৃদ্ধির খবর তাঁদের ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দিচ্ছে। তারা অনেকটা এগিয়ে গিয়েও, দু’দেশের মধ্যেকার রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করে আবার পিছিয়ে যাচ্ছেন। এগিয়ে যাওয়ার ভরসা পাচ্ছেন না।’’
আরও পড়ুন- বেপাত্তা ২৬০, ছেলেধরার খোঁজে বাংলাদেশ পুলিশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy