Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Israel

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ‘চাইনিজ’ বলে ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে মার ইজরায়েলে

মারের জেরে বুকে একাধিক আঘাত নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

হাসপাতালের শয্যায় আম-শালেম সিঙ্গসন। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

হাসপাতালের শয্যায় আম-শালেম সিঙ্গসন। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
জেরুজালেম শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০ ১৪:৪৯
Share: Save:

তিনি চিনা। সেখান থেকে করোনাভাইরাস এনে ছড়াচ্ছেন ইজরায়েলে। এই সন্দেহে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে বেদম পেটানো হল ইজরায়েলে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইজরায়েলের তিবেরিয়াস শহরে। মারের জেরে বুকে একাধিক আঘাত নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছরের ওই ব্যক্তির নাম আম-শালেম সিঙ্গসন। তিনি বেনি মেনাশে সম্প্রদায়ভুক্ত। উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর ও মিজোরামে বসবাস করেন ওই সম্প্রদায়ের মানুষরা। তিন বছর আগে পরিবারকে নিয়ে ভারত থেকে ইজরায়েলে গিয়েছিলেন তিনি।

সে দেশের এক টিভি মিডিয়ার খবর অনুসারে, শনিবার দুই ব্যক্তি সিঙ্গসনকে ‘চাইনিজ’ বলে চিহ্নিত করেন এবং করোনা ছড়ানোর জন্য তাঁকে দায়ী করেন। তার পরই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বুকে আঘাত পেয়ে বর্তমানে তিনি পোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, আক্রমণকারীদের তিনি বার বার বলেছিলেন, তিনি চিন থেকে আসেননি। এবং তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। কিন্তু তাঁর কথা শোনেননি দুই আক্রমণকারী। সে দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

বেনি মেনাশে সম্প্রদায়ের মানুষদের ইজারায়েলে অভিবাসন দেওয়ার কাজ করে শাভেই ইজরায়েল নামের এক সংস্থা। এই ঘটনার জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেই সংস্থার চেয়ারম্যান মিকেল ফঁয়েদ। তিনি বলেছেন, ‘‘বর্ণবৈষম্যের ওই আক্রমণে আমরা মর্মাহত। গোটা ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা ইজরায়েলি পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’’

আরও পড়ুন: করোনার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার! পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু আমেরিকায়

আরও পড়ুন: করোনা রোগীর চিকিৎসার পর কত বার হাত ধুতে হয় চিকিৎসকদের?

অন্য বিষয়গুলি:

Israel Indian Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE