ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ভোটাভুটি রাষ্ট্রপুঞ্জে। ছবি: রয়টার্স।
ইউক্রেনের পরে এ বার ইজ়রায়েল। রাষ্ট্রপুঞ্জে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে আবার অংশ নিল না ভারত। তবে মানবিক সহায়তার কারণে গাজ়া ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব শুক্রবার পাশ হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে।
আরব দেশগুলির তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল জর্ডান। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২০টি সদস্য দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভারত-সহ ৪৫ সদস্যরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রস্তাবে গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের উপর সশস্ত্র প্যালেস্তিনীয় গোষ্ঠী হামাসের হামলার উল্লেখ না থাকার কারণেই ভারত ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। জর্ডনের ওই প্রস্তাবের সঙ্গে ‘হামাসের আক্রমণের’ প্রসঙ্গ সংযোজনের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিল কানাডা। ভারতের তরফে সমর্থন করা হলেও সংশোধনী প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।
যদিও সাধারণ পরিষদে গৃহীত ওই প্রস্তাবে ইসরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের অসামরিক নাগরিকদের উপর ‘সন্ত্রাস এবং নির্বিচার হামলা’-সব ধরনের হিংসার নিন্দা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজ়ার সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠাতে বাধা না দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, পণবন্দিদের ‘অবিলম্বে এবং নিঃশর্তে’ মুক্তির কথাও। আন্তর্জাতিক আইন মেনে পণবন্দিদের নিরাপত্তা, শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া এবং তাঁদের সঙ্গে মানবিক আচরণেরও আহ্বান জানানো হয়েছে যুযুধান দু’পক্ষের কাছে।
যদিও অতীতে গাজ়া এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সেনা অভিযানের সময় অনেক বারই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইজ়রায়েল। প্রসঙ্গত, সাধারণ পরিষদে গৃহীত কোনও প্রস্তাব মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলির। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই সাধারণ পরিষদের সদস্য হওয়ায় গৃহীত হওয়া প্রস্তাবগুলির কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে একাধিক বার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভোটভুটিতে অংশ নেয়নি ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy