প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া হয়ে সোজা ইউরোপ। সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষবৈঠক চলকালীন এমনই অর্থনৈতিক করিডর গড়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল আটটি দেশের মধ্যে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আশঙ্কা, প্রস্তাবিত সেই অর্থনৈতিক করিডর গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার অন্যতম কারণ হতে পারে।
আমেরিকা সফররত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন, ‘‘ইজ়রায়েলের উপর হামাসের হামলার অন্তত একটি কারণ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত। যদিও আমাদের হাতে এখনও কোনও প্রমাণ আসেনি।’’ ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরও যে সেই ‘কারণ’ সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন বাইডেন। সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘কোনও অবস্থাতেই আমরা অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের সমঝোতা থেকে পিছিয়ে আসব না।’’
ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ভারত, আমেরিকা, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালির মধ্যে সমঝোতা সই হয়েছে সেপ্টেম্বরে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) প্রকল্পের ‘জবাবেই’ এই কর্মসূচিতে হাত মিলিয়েছে ভারত, আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশ।
যদিও বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এই বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এশিয়ার অনেক দেশ উপকৃত হবে। সুফল পাবে চিনও।’’ প্রসঙ্গত, ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত আর্থিক করিডর তৈরি হলে বাণিজ্যের সময় অনেক কমবে। ভারতে পণ্য আমদানি এবং ভারত থেকে রফতানির প্রক্রিয়া নতুন গতি পাবে। করিডর তৈরি হলে তা চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রথম বৃহৎ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রস্তাবিত করিডরে ভারতের পশ্চিম উপকূলে মুম্বই বা গুজরাতের বন্দর থেকে জাহাজে পণ্য যাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তার পরে সৌদি আরব, জর্ডনের মধ্যে দিয়ে রেলপথে তা যাবে ইজরায়েলে। সেখানে হাইফা বন্দর থেকে জাহাজে পণ্য পৌঁছবে ইটালি, ফ্রান্সে। ইজ়রায়েলের হাইফা বন্দর দীর্ঘ দিন ধরেই প্যালেস্তেনীয় গোষ্ঠীগুলির নিশানায়। সম্প্রতি ওই বন্দরে বিপুল বিনিয়োগ করেছে আদানি গোষ্ঠী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy