নওয়াজ শরিফ।
আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে জাল নথি দিলে সাত বছর কারাবাস করতে হবে নওয়াজ শরিফের ছেলেমেয়েকে। পানামা নথি নিয়ে মামলায় এই মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
পানামা নথি ফাঁসের পরে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে শুধু শরিফই নয়, নাম জড়িয়েছে তাঁর পরিবারের। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের বিদেশে প্রচুর সম্পত্তি ও আয়ের উৎস নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছে আদালতের নির্দেশে গঠিত যৌথ তদন্ত কমিটি। তার ভিত্তিতেই পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে গত চার দিন ধরে মামলার শুনানি চলছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে অনুদানে শর্ত আমেরিকার
তদন্ত কমিটি অভিযোগ এনেছে, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে বাঁচতে তাদের সামনে জাল নথি পেশ করেছেন নওয়াজ পুত্র হুসেন নওয়াজ ও কন্যা মরিয়ম নওয়াজ। তদন্ত কমিটির অভিযোগ, মরিয়ম ২০০৬ সালের একটি ট্রাস্টের দলিল পেশ করেছেন, লন্ডনের একটি অফিসে এর নোটারি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অভিযোগ, যে হরফে দলিলটি লেখা হয়, তা ২০০৭ সালের আগে বাজারে আসেনি। যে দিন নোটারির কথা রয়েছে, সেটি ছিল শনিবার। অর্থাৎ, ওই অফিস খোলাই ছিল না। ফলে দলিলটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তদন্ত কমিটি জানায়, নওয়াজ-পুত্র হুসেন ‘গাল্ফ স্টিল মিলস’-এর যে তথ্য দিয়েছেন, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ, দুবাই থেকে সরকারি ভাবে তাদের জানানো হয়েছে, এমন তথ্য সরকারের জানা নেই। আজ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘‘কোর্টে কেউ জাল নথি দিয়েছে প্রমাণিত হলে সাত বছর জেল হবে।’’ সৌদি আরব, কাতার ও ব্রিটেনে শরিফ পরিবারের যে ব্যবসা রয়েছে, তার হিসেবনিকেশ, অর্থের সূত্র নিয়েও খোঁজ নিয়েছে আদালত। ‘‘এই ব্যবসার টাকা কোথা থেকে এল সেটাই বড় প্রশ্ন’’— মত সুপ্রিম কোর্টের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy