উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব হাউস্টন দুর্গাবাড়ির পুজো।
উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব হাউস্টন দুর্গাবাড়ির পুজো। কমিউনিটি সেন্টার ও মন্দির— দু’জায়গাতেই জমিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। মূলত হাউস্টনে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের হাত ধরেই এই পুজোর সূচনা হয়। আন্তর্জাতিক বিভাগে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পেয়েছিল এই পুজো।
আরও পড়ুন: ও কি এ বার পুজোয় আসতে পারবে…
লেকের ধারে মন্দির চত্বরেই মূল পুজোর আয়োজন হয়। মন্দিরের মূল মূর্তি অষ্টধাতুর তৈরি। ভারত থেকেই হাউস্টনে এসেছিল এই মূর্তি। এখানকার প্রধান পুরোহিত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গেই চার দিন ধরে পুজোর কাজে সহায়তা করেন অন্য পুরোহিতেরা। বোধন থেকে বিসর্জন— দুর্গাপুজোর সমস্ত উপাচার মেনেই পুজো হয় এখানে। হোম থেকে চণ্ডীপাঠ, ১০৮ পদ্ম দিয়ে সন্ধিপুজো, নৈবেদ্য, ভোগ, দধিকর্মা— সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। আমাদের এই পুজোয় অংশ নেন প্রায় ৩৫০০ জন।
দুর্গা বাড়ির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পুজোর ক’টা দিন অসম্ভব মজা হয় এখানে। একেবারে উৎসবের চেহারা নেয় গোটা কমিউনিটি প্রাঙ্গন। আলোকসজ্জা ও পুজোর মণ্ডপসজ্জাও দেখার মতো হয়। পুজোর দিনগুলিতে লাইভ পারফরম্যান্স চলে। কলকাতা থেকে নামীদামি শিল্পীরা আসেন এখানে। এ বারও এখানে অনুষ্ঠান করার কথা হৈমন্তী শুক্ল, সারেগামা খ্যাত জিমূত-চন্দ্রিকা, সৌম্যজিৎ-সৌরেন্দ্রদের।
আরও পড়ুন: এ বারের পুজো এক্কেবারে অন্য রকম
পুজো কমিটির সদস্যরাই ভোগ রান্না করেন। শামিয়ানা খাটিয়ে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা হয়। লাঞ্চ থেকে ডিনার, পুজোর ক’দিন সবাই একসঙ্গেই খাওয়াদাওয়া করেন। আমাদের পরের প্রজন্মই এখন ঢাক বাজানোর দায়িত্বে থাকে। শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জনে হয়। কলাবউ স্নান করিয়ে লেকের জলে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। আসলে এই স্পেস সিটিতে প্রতি বছর এক টুকরো বাংলাকে তুলে আনাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
(লেখক হাউস্টন দুর্গাবাড়ি পুজোর প্রাক্তন সভাপতি)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy