অব্যাহত ইজ়রায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।
অব্যাহত রাফায় ইজ়রায়েলের হামলা, অব্যাহত ইজ়রায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ এবং অব্যাহত নির্বিচারে ধরপাকড়। সেই সঙ্গে মিশরে ফের হামাস আর ইজ়রায়েলের মধ্যে শুরু হয়েছে
শান্তি বৈঠকও।
আজ ওয়াশিংটনের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের চোখে-মুখে ‘পেপার স্প্রে’ করেছে পুলিশ, কাউকে কাউকে মারধরও করা হয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এলেন গ্র্যান্ডবার্গের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো জন্য ক্যাম্পাস ছেড়ে রওনা দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা, তার পরেই ক্যাম্পাসে শুরু পুলিশের অভিযান। একই দৃশ্য নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতেও। গত কাল রাতেই সেখানকার বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের গ্রেফতার করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। জোর করে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের অবস্থান মঞ্চ। পড়ুয়াদের দাবি, ‘দাঙ্গা প্রতিরোধী’ পোশাক পরে পুলিশ এসেছিল তাঁদের গ্রেফতার করতে। তবে, ইজ়রায়েল-বিরোধী আন্দোলন কোনও ধরপাকড়েই থামবে না — এমনই দাবি উঠেছে আমেরিকা-ব্রিটেনের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে।
সোমবার হামাস জানিয়েছিল, মিশরের শান্তিপ্রস্তাব অনুসারে যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি। ইজ়রায়েল তাতে সায় দেয়নি। বরং বলেছিল, শান্তিপ্রস্তাবের শর্ত তাদের মঞ্জুর নয়। ফলে, মিশরের রাজধানী কায়রোয় নতুন করে শুরু হয়েছে শান্তি আলোচনা। উপস্থিত রয়েছেন ইজ়রায়েল ও হামাস— দু’তরফেরই প্রতিনিধি। ইজ়রায়েল অবশ্য রাফায় হামলা থামায়নি। চোরাগোপ্তা হানা চলছে গাজ়া ভূখণ্ডের অন্য অংশেও। আজ সকালেও আকাশহানা ঘটেছে রাফায়, শোনা গিয়েছে গুলিবৃষ্টির শব্দ। রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণ সংগঠন, ইউএনআরডব্লিউএ-র দাবি, গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ রাফা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁদের কেউ আশ্রয় নিয়েছেন খান ইউনিসে, কেউ গিয়েছেন আল-মাওয়াস। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিয়ো গুতেরেসের কথায়, “রাফায় ইজ়রায়েলি হামলা বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত ত্রুটি, রাজনৈতিক বিপর্যয় এবং মানবতাবাদের দুঃস্বপ্ন।”
গত কাল সকাল থেকেই রাফা সীমান্ত ও কেরেম-শালোম সীমান্ত দখল নিয়েছিল ইজ়রায়েলি বাহিনী। দুই সীমান্তেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চলাচল। ফলে, ত্রাণ, ওষুধ, পানীয় জল সব থমকে গিয়েছিল মিশরের দিকটিতে।
আজ সকালে বাহিনী ঘোষণা করে, স্রেফ কেরেম-শালোম সীমান্তটি খোলা হচ্ছে। সমস্ত ত্রাণের ট্রাক এই পথ দিয়েই প্রবেশ করবে গাজ়ায়। তার আগে, তাদের তল্লাশি হবে। পাশাপাশি, উত্তর গাজ়ার এরেজ় সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বাহিনী। মানবাধিকার কর্মী ও চিকিৎসকেদের অবশ্য দাবি, রাফা সীমান্ত পুরোপুরি খুলে না দেওয়া হলে রাফার হাসপাতালগুলি সরঞ্জাম ও ওষুধের অভাবে ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেবে। তখন আরও বাড়বে মৃত্যুসংখ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy