ছবি রয়টার্স।
টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে থাকলে আমেরিকা সফরে বিদেশিদের উপরে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে চালু হতে চলেছে এই নিয়ম। সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘোষণা করেছেন।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ছাড়পত্র পাওয়া যে কোনও টিকার সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া থাকলে এই ছাড় পাবেন যাত্রীরা। অতিমারির কারণে বেশ কিছু দিন ধরে ভারত-সহ বহু দেশের উপরে আমেরিকা সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ক্ষেত্র বিশেষে ছাড় মিললেও স্বাভাবিক বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। নতুন নিয়ম চালু হলে সেই কড়াকড়ি থেকে রেহাই মিলবে বিদেশিদের। তবে যাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়, এমন বিদেশিদের জন্য আমেরিকা পৌঁছনোর পথ আরও কঠিন হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় মিলবে। সে ক্ষেত্রে সফরের ২৪ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা করতে হবে।
দেশবাসীর প্রায় ৭০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কড়াকড়ির রাশ আলগা করার কথা ভাবছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোল সূত্রের খবর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চায় তারা। সামাজিক দূরত্ববিধি ও জমায়েত সংক্রান্ত বিধি-নিষেধও তুলে নেওয়া হবে। তার জন্যে তিনটি ধাপে ‘আনলক’ পর্বের পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। প্রথম ধাপে রেস্তরাঁ, কাফে এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। তবে নাইটক্লাবের ক্ষেত্রে আগের সমস্ত নিয়ম ও কোভিড বিধিই বজায় থাকছে। সর্বাধিক মধ্যরাত পর্যন্ত নাইটক্লাব খোলার অনুমতি মিলবে। যে সব বদ্ধ জায়গায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি যেমন জিম, সুইমিং পুল, সওনা, কারাওকে বার— সেগুলিতে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে থাকলে তবেই মিলবে প্রবেশাধিকার। দেখাতে হবে টিকাকরণের শংসাপত্রও। টিকা নেওয়া না থাকলেও সোল এবং সংলগ্ন এলাকায় ১০ জনের জমায়েতে মিলবে ছাড়। বর্তমানে সর্বাধিক আট জনের জমায়েতে (যার মধ্যে কম পক্ষে চার জনের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া আবশ্যক) ছাড় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। পাশাপাশি দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি, আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার উপরেও নজর রাখছেন কর্তৃপক্ষ। প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যার উপরে অতিরিক্ত নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। কেবলমাত্র সামান্য উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীনদের বাড়িতে বিচ্ছিন্নবাসে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় চিনে বেজিং, ইজিন কাউন্টির পরে এ বার গানশু প্রদেশের লনঝৌ শহরে কড়া লকডাউন জারি করল শহরের প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে এই নয়া নিয়ম। প্রায় ৪০ লক্ষ শহরবাসীকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আবাসনগুলির তলায় কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। ধাতব ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই এলাকায় নতুন করে ২৯টি সংক্রমণের খবর মিলেছে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাটা কম হলেও সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে বদ্ধপরিকর চিন। ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক্স হওয়ার কথা। তার আগে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy